× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

 তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রামপুরায় গাড়িগুলোতে ছাত্ররা আগুন দেয়নি। একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ওই মহল ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, হাফ ভাড়া এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া বুধবার থেকে কার্যকরের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে ঢাকার বাস মালিক সমিতি হাফ ভাড়া কার্যকর করেছে। মন্ত্রী বলেন, গত পরশু রাতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। সেটি হচ্ছে রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় একজন ছাত্র নিহত হয়েছে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কিন্তু এ ঘটনা একটু বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই, এই ঘটনা থেকে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যানুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত পৌনে ১১টায়। এর ১২ মিনিট পর ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ তাদের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করে। রাত ১১টায় জামায়াত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয়। আর সেখান থেকে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো, ১২ মিনিটেই ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ পেজের অ্যাডমিন সেখানে কীভাবে পৌঁছালো, সেখান থেকে লাইভ কীভাবে করলো? বাঁশের কেল্লা কীভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে এই খবর পেলো এবং সেখান থেকে খবর প্রচার করলো?  ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ১০/১২টি গাড়িতে আগুন দেয়া হলো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গাড়িগুলোতে আগুন ছাত্ররা দেয়নি। কারণ ঘটনার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে এত ছাত্র সেখানে পৌঁছায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফেসবুক পেইজে লাইভ দিয়েছে তারা কি ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত ছিল? ১২ মিনিটের মধ্যে যারা লাইভে গেছে এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে লোকজন জড়ো করে বাসে আগুন দেয়া হলো, তারা আগে থেকে প্রস্তুত নিশ্চয়ই ছিল। এত অল্প সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী/পুলিশ সেখানে পৌঁছাতে পারে না, অথচ তারা পৌঁছে গেল কীভাবে? এই প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত পরশু রাতের ঘটনা থেকে সেটি স্পষ্ট। ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ছাত্ররা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছে, তারা কিন্তু কোনো জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয়নি, এমনকি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেনি। ছোটখাটো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বড় ভাঙচুরের ঘটনা সেভাবে ঘটেনি। অথচ সেদিন ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে ১২ থেকে ১৫টি বাসে আগুন দেয়া হলো। মন্ত্রী বলেন, এগুলো দুষ্কৃতকারীরা করেছে, যারা দেশে কোনো কিছুর ওপর ভর করে অতীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও এই ছাত্রদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার উদ্দেশ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে, তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর