× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ওমিক্রন ৪৮ ঘণ্টা আগের নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে নয়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

দক্ষিণ আফ্রিকা বা আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এইড্স দিবসের এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। একই সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে এলেও ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
 জাহিদ মালেক বলেন, আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে যাত্রার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড পরীক্ষার সনদ থাকতে হয়। আফ্রিকা এবং ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ ছাড়া অন্য সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ যদি আসে, তাদের অবশ্যই বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। আমরা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘সেসব দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করতে হবে। টেস্টে যদি করোনা নেগেটিভ না হয় তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
যদি দেখি কোনো দেশ সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আজই বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ে যাবে। এ কাজে যেসব মন্ত্রণালয় জড়িত তাদেরও চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য যেসব হোটেল ঠিক করা হয়েছিল, সেখানে লোকজন কম আসায় তারা আগের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, এসব হোটেল আবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবারও তালিকা অনুযায়ী এসব হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে না আসতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রবাসী কারও মাধ্যমে যেন ওমিক্রন আসতে না পারে সেই চেষ্টা সরকার করছে। মন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করেন। কারণ, একসঙ্গে যদি আফ্রিকা থেকেই ২০ থেকে ৩০ হাজার লোক দেশে চলে আসেন, তাহলে কিন্তু সবার কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এই সক্ষমতা আমাদের নেই। সব হোটেল নিলেও ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি লোক জায়গা দেওয়া যাবে না। বিদেশ থেকে এসে অনেকে পরিচয় গোপন করছে।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। আমরা বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করতে চাচ্ছি তারা অসুস্থ কিনা দেখতে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কার সঙ্গে মিশছে, চিকিৎসার আওতায় আনা। আমরা তো কাউকে জেলে দেবো না। তাদের মঙ্গলের জন্যই খুঁজছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর