× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিদেশে আটক কয়েক শত তাইওয়ানিজকে তুলে দেয়া হয়েছে চীনের হাতে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ২, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৪২ অপরাহ্ন

কয়েক বছরে বিদেশে আটক কমপক্ষে ৬০০ তাইওয়ানিজকে ফেরত পাঠানো হয়েছে চীনে। স্পেনভিত্তিক সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের নতুন এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। তারা বলেছে, তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করার এক হাতিয়ার হিসেবে এই চর্চাকে ব্যবহার করছে চীন। তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে। তাদের দাবি, বিদেশে তাদের যেসব মানুষকে আটক করা হবে, তাদেরকে তাইওয়ানে ফেরত পাঠানো উচিত। কিন্তু এতে বাগড়া দিচ্ছে বেইজিং। তারা তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ বা প্রদেশ হিসেবে দেখে থাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

সেফগার্ড ডিফেন্সারর্স বলেছে, যেসব মানুষকে চীনে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের সম্পর্কে তারা রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মিডিয়া থেকে।
এর মধ্য দিয়ে চীন তাইওয়ানের ওপর শ্যেণ দৃষ্টি ফেলেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। স্পেনভিত্তিক এই মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপটি আরো উল্লেখ করেছে যে, যেসব তাইওয়ানিজকে চীনে পাঠানো হয়েছে চীনে তাদের কোনো বংশীয় মূল বা পরিবার নেই।

এমনকি সেখানে তারা নির্যাতনের ঝুঁকিতে পড়ে থাকতে পারেন, তাদের সঙ্গে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো আচরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে সংগঠনটি। যেসব দেশ এসব নাগরিককে চীনের হাতে তুলে দিচ্ছে, তারা মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলেও তারা অভিযোগ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে তাইওয়ানের বেশির ভাগ মানুষকে চীনে ফেরত পাঠিয়েছে স্পেন এবং কেনিয়া।

২০১৬ সালে কেনিয়ার ঘটনাকে জোর দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে এতে। বলা হয়েছে, একজন চীনা এবং তাইওয়ানিজকে চীনে ফেরত পাঠানোর পক্ষে কথা বলে কেনিয়া। তাইওয়ানের সঙ্গে আফ্রিকার এই দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বলে এসব নাগরিককে চীনের হাতে তুলে দেয় তারা। ২০১৭ সালে কম্বোডিয়া কর্তৃপক্ষকে তাইওয়ানের একদল মানুষকে চীনের হাতে তুলে না দিতে সমঝোতা প্রচেষ্টা চালায় তাইওয়ান। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।

সর্বশেষ রিপোর্টের জবাবে তাইওয়ান সরকার বলেছে, বিদেশে গ্রেপ্তার বা অভিযুক্ত তাইওয়ানিজদের বিচার করার এক্তিয়ার নেই চীনের। এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করছে বেইজিং। সরকার থেকে আরো বলা হয়, আমরা চীনা কর্র্তৃপক্ষের প্রতি আবারো আহ্বান জানাচ্ছি, রাজনীতিতে ক্রাইম-ফাইটিং হওয়া উচিত হবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর