গত বছরের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় নৃশংস সংঘর্ষের পর থেকে চীনা বাহিনীর সাথে ভারতের সম্পর্ক খানিকটা সাপে-নেউলের মতো। প্রতিপক্ষ চীনা সেনার ওপর নজরদারি চালাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হলো হেরন ড্রোন, যা তৈরী করেছে ইসরাইল। এএনআই একটি সরকারি সূত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছে , উন্নত হেরন ড্রোন ভারতে এসেছে এবং পূর্ব লাদাখ সেক্টরে নজরদারি চালাতে মোতায়েন করা হচ্ছে। ভারতের হাতে মানবহীন যে এরিয়াল ভেহিক্যালস (ইউএভি) আছে তার থেকে এই হেরন ড্রোনের ক্ষমতা অনেক বেশি , তাই জরুরি ভিত্তিতে এই ড্রোন ক্রয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সরকারি সূত্র। ভারতের অস্ত্রাগারে এই মুহূর্তে চার ধরণের UAV (Unmanned Aerial Vehicles) রয়েছে - হেরন, হেরন -২, দা সার্চার এবং সি গার্ডিয়ান। অনুমান করা হচ্ছে- ভারতীয় সেনাবাহিনী ইসরাইলের থেকে যে ড্রোনগুলি সংগ্রহ করেছে তা হেরন টিপি হতে পারে। ভারত দীর্ঘমেয়াদী নজরদারি মিশন পরিচালনার লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করার জন্য ইসরায়েল থেকে চারটি হেরন টিপি ড্রোন কেনার চুক্তি করেছে।
হেরন ড্রোনের বিশেষত্ব
১) হেরন টিপি ড্রোন ১৪ মিটার লম্বা , যা রাফালে জেটের দৈর্ঘ্যর সমান। কিন্তু ফরাসি ফাইটারের থেকে দ্বিগুণ বড় এর ডানা।
২) মাঝারি উচ্চতায় সহনশীল এই মানবহীন এরিয়াল সিস্টেম (UAS) সমস্ত আবহাওয়ার মিশনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৩) উন্নত এভিওনিক্স, দৃষ্টিশক্তি এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগের দ্বারা সমৃদ্ধ হেরন টিপি ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে পারে - বাণিজ্যিক ফ্লাইট রুটেরও ওপরে।
৪) এটি ১ হাজার কেজির বেশি পে-লোড বহন করার সময় ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বায়ুবাহিত মিশন পরিচালনা করতে পারে।
৫) এতে ডাবল বুম, টুইন-টেইল ডিজাইন রয়েছে যা এটিকে উন্নত অ্যান্টেনা সংযোগ এবং সর্বোত্তম কভারেজ , নির্ভুল সংকেত পরিমাপের সুযোগ করে দেয়
৬) যদিও এটা স্পষ্ট নয় যে ভারতীয় সেনা হেরন টিপি ড্রোনগুলিতে কী পে-লোড দিয়ে সজ্জিত করে , তবে এই ড্রোন একাধিক পেলোড বহন করতে পারে।
৭) এর মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম, SAR এবং মেরিটাইম সার্চ রাডার, COMINT এবং ELINT সিস্টেম এবং স্ট্যান্ডঅফ রেঞ্জ থেকে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা অবিরাম নজরদারি সিস্টেম।
৮) অন্যান্য পেলোডগুলি হেরন টিপির আন্ডারউইং পডগুলিতেও বহন করা যেতে পারে। এই পডগুলি স্থলভাগের থ্রি ডি ইমেজিং এবং বিস্তৃত ভূভাগের অবিচ্ছিন্ন কভারেজ সরবরাহ করতে পারে
২০১০ সাল থেকে, ইসরাইলি এয়ার ফোর্স (IAF) দ্বারা মোতায়েন করা এই হেরন টিপি সফলভাবে বেশ কয়েকটি মিশন পরিচালনা করেছে। যেকোন মনুষ্যবিহীন বিমান যুদ্ধ ব্যবস্থার চেয়ে এটি অনেক বেশি উন্নত। ২০১৮ সালে জার্মানি হেরন টিপি পরিচালনার জন্য দ্বিতীয় দেশ হয়ে ওঠে এবং মাত্র এক মাস পরে, ভারত সরকার তার বিদ্যমান হেরন অস্ত্রাগার বাড়ানোর জন্য হেরন টিপি সংগ্রহের অনুমোদন দেয়।
সূত্র : টাইমস নাউ
India is doing what Pak did for the last 70 years , then become bankrupt . Keep buying useless weapons keeping your people hungry . Great idea.
Professor Dr, Mohamm
৩ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার, ৭:১০লাল ফৌজের ওপর নজরদারি বাড়াতে ভারতের অস্ত্রাগারে Heron TP সংযোজনের খবরটি নিঃসন্দেহে স্বস্তির। কারন অনেক আগেই যদি চীনাদের নড়াচড়া বোঝা যায় তবে ভারতীয়দের মৃত্যুকে রোধ করা সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি । কিন্তু চীনারা রেডিও জাম্মিং করে তার কার্যকারিতা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে বলে আমার ধারণা । সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমাদের সীমান্তেও দ্রন বসান উচিৎ । গত ১০ বছরে ২৯৪ জন বাংলাদেশী বিএস এফ এর হাতে নিহত হয়েছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দ্রন মোতায়েন করলে হয়তো ভবিষ্যতে এই ধরনের মৃত্যুকেও ফেরান যাবে ।