করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে মাঠে গড়ায়নি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। তবে করোনার প্রকোপ কমায় ২০২২ সালের ২৮শে জানুয়ারি থেকে পর্দা উঠছে বিপিএলের অষ্টম আসরের। ২৮শে ফেব্রুয়ারির মাঝেই শেষ করা হবে টুর্নামেন্টটি। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন। এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২৮শে জানুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলের সূচি রাখা আছে। এর মধ্যেই আমরা শেষ করবো।’
আসন্ন এই আসরের জন্য নতুন ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে বিসিবি। বিসিবি’র অফিসিয়াল সাইটে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তারা। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবারের আসরটিও হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর বিপিএল আয়োজন সম্ভব হয়নি। যদিও ৫ দলের অংশগ্রহণে ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। এর আগের মৌসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাদ দিয়ে সাত স্পন্সর প্রতিষ্ঠান নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল বিপিএলের আসর। টুর্নামেন্টটির সেই আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। ধারণা করা হচ্ছে এবারের আসরে অংশ নেয়া দলগুলোর সঙ্গেই লম্বা সময়ের জন্য চুক্তি করবে বিসিবি। ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দল জমা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র এই কর্মকর্তা। নিয়ম অনুযায়ী বিপিএলে বিদেশি কোটায় প্রতি ম্যাচে প্রতি দলে ৪ জন ক্রিকেটার খেলানো হয়। এবার সেটি ৩ জনে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে টুর্নামেন্ট কমিটি। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাব শুরু হয়েছে, এমন অবস্থায় মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া যাবে তো? এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘আমার দেশে তো স্বাভাবিকভাবে চলছে। ওটার প্রভাব সেভাবে পড়ে নাই। যদি সরকারের কাছ থেকে পরে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে বিদেশি দলের ভ্রমণের ব্যাপারে। তখন বিষয়টাকে এখন যেভাবে চিন্তা করছি, তখন হয়তো কিছু ফাইন টিউনিং করতে হবে।’