চট্টগ্রামে পাইলটের দক্ষতায় ৪২ জন যাত্রী নিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্যাশ ৮ এয়ারক্রাফটের একটি বিমান। আকাশে ৮ বার চক্কর দিয়ে শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অঘটন ছাড়াই জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। সে সময় বিমানে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আতঙ্ক শুরু হয় বিমানবন্দরেও। ওই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীও ছিলেন।
আবু রেজা নদভী এমপি বলেন, ‘আল্লাহর রহমত ও পাইলটের বিশেষ দক্ষতার কারণে আমিসহ বিমানে থাকা সবাই প্রাণে বেঁচে যাই। সে সময় বিমানে থাকা যাত্রীরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং দোয়া পড়তে থাকেন। এর মধ্যে অনেকেই ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন আমি দোয়া-দুরুদ পড়ছিলাম।
আর যতটা সম্ভব নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম।’
এমপি নদভী বলেন, অবতরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিমানটি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার দিকে চলে যায়। তখন মনে হচ্ছিল বিমানটি পানিতে অথবা বোয়ালখালির পাহাড়ে পড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত আকাশে এক ঘণ্টার বেশি সময় চক্কর দিয়ে আমরা অবতরণ করি।
জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বুধবার রাত পৌনে ৯টায় ৪২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। কিন্তু চট্টগ্রামের আকাশে পৌঁছার পর অবতরণের প্রস্তুতিকালে এটির চাকা আটকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও চাকা নামাতে ব্যর্থ হয়ে পাইলট আকাশে চক্কর দিতে থাকেন। এর মধ্যে জরুরি অবতরণের জন্য বেশ কয়েক দফা উদ্যোগ নেন। এতে তিনি বারবার ব্যর্থ হন। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা আকাশে চক্করের পর রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে শাহ আমনত বিমানবন্দরে নিরাপদে ফ্লাইটটি অবতরণে সক্ষম হন।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান মানবজমিনকে বলেন, ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের আকাশে আসার পর চাকায় সমস্যা দেখা দেয়। এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক চক্কর দিয়ে ল্যান্ডিং গিয়ারটি স্বাভাবিক হওয়ার পর এটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যাত্রীরা নিরাপদে বাসায় ফিরেছেন।