ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড সংক্রমণের মাত্রা ‘উদ্বেগজনক হারে’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দ্রুতই দেশটিতে এটি হয়ে উঠছে কোভিডের সব থেকে প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, বৃটেন ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ধরা পড়েছে ভয়াবহ এই ভ্যারিয়েন্টটি। এর মধ্যে আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় চলছে কোভিডের রেকর্ড সংক্রমণ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমুনিক্যাবল ডিজিজ বা এনআইসিডি’-এর গবেষক ড. মিশেল গ্রুম বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশটিতে যে মাত্রার কোভিড সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে তা ‘অকল্পনীয় পর্যায়ের উচ্চ’। যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জনের কোভিড শনাক্ত হচ্ছিল সেখানে গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি শনাক্ত হচ্ছে। এই হার এ সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০ জনে। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনে ৮ হাজার ৫৬১ জনের কোভিড শনাক্ত হয়।
গত সপ্তাহের বুধবারে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৭৫। এই হারে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলেন গ্রুম।
এনসিআইডি জানিয়েছে, গত এক মাসে যত ভাইরাসের জিনোম সিক্যুয়েন্স করা হয়েছে তার ৭৪ শতাংশই ছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তবে ওমিক্রন কতোখানি সংক্রমক তার নিশ্চিত উত্তর এখনো জানা যায়নি। এই ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের দুই ডজনেরও বেশি দেশে শনাক্ত হয়েছে। গবেষকরা এখন জানার চেষ্টা করছেন চলমান ভ্যাকসিনগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কেমন কার্যকরী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই এর উত্তর জানা যাবে।
এনসিআইডি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের দেয়া প্রাথমিক তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই ভ্যারিয়েন্ট শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। তারপরেও বর্তমানে ভ্যাকসিনগুলো গুরুতর আক্রান্ত ও মৃত্যু থেকে রক্ষা করতে পারবে বলেই মনে হচ্ছে। বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর শাহিনও দাবি করেছেন, তাদের ভ্যাকসিন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা নিশ্চিত করে।