আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সাড়া জাগানো সিনেমা ‘নোনাজলের কাব্য’- এখন দেশেও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। গত ২৬শে নভেম্বর বাংলাদেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এই ক’দিনে সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শক ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ও তাদের প্রশংসা পাচ্ছে। সিনেমাটি দেখে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, ছবিটি দেখে আমার মনে হয়েছে, এটি একটি অসাধারণ ছবি। এর গল্পের মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয়কে স্পর্শ করা হয়েছে এবং অনেক পরিমিতিবোধ কাজ করেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘নোনাজলের কাব্য’- ছবিটিতে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ও নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে একটি বড় বার্তা রয়েছে। আমার মনে হয়, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সারা বিশ্বের বিবেককে জাগ্রত করার জন্য এর চেয়ে শক্তিশালী বার্তা আর হতে পারে না। সকল দিক দিয়ে এটি একটি অসাধারণ ছবি।
অভিনেত্রী ও মডেল আজমেরী হক বাঁধন বলেন, সাগর পাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবনের এক অসাধারণ গল্প এটি। দৃশ্যগুলো এখনো চোখে লেগে আছে। মনে জায়গা করে বসে আছে টুনি। অভিনেতা নরেশ ভূঁইয়া বলেন, একজন দর্শক হিসেবেই আমি ছবিটি দেখেছি। আমার একবারও মনে হয়নি, এটি পরিচালক সুমিতের প্রথম ছবি। তার মতো নির্মাতারা ছবি নির্মাণে এগিয়ে এলে আমাদের সিনেমা আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। দীর্ঘ ৭ বছরের যাত্রা শেষে মুক্তি পায় পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’। তিনি বলেন, নোনা জলের কাব্য বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে, এমনকি ঈঙচ ২৬-য়েও প্রশংসা কুড়িয়েছে। সম্প্রতি আমরা পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে তিনটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম যার প্রত্যেকটি সফল হয়েছে। সিনেমাটি জেলেদের নিয়ে নির্মিত, তাই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আগে তারাই সবার আগে এটি দেখেছে। এই সিনেমার মাধ্যমে আমি শুধু জলবায়ু যোদ্ধাদের জীবনেই পরিবর্তন আনতে চাই না, বরং ধর্ম সংক্রান্ত সহিংসতা বন্ধের জন্যও ভূমিকা রাখতে চাই। উল্লেখ্য, ‘নোনা জলের কাব্য’- সিনেমার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া এবং তাসনুভা তামান্না। আবহ সংগীত করেছেন অর্ণব। এই সিনেমার টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ, পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স।