অভিষেক টেস্টে অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা হয় ইয়াসির আলীর। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান। পরে তার ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নামেন নুরুল হাসান সোহান। ইয়াসির জানিয়েছেন, মাথায় আঘাত পাওয়ায় ভয় ধরে গিয়েছিল তার মনে।
অনেক জল্পনা কল্পনা ও অপেক্ষার পর টেস্ট অভিষেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইয়াসিরের। ঘরোয়া লীগের এই নিয়মিত পারফর্মার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪ রানে বোল্ড হন হাসান আলীর বলে। তবে দারুণ লড়াই করেন দ্বিতীয় ইনিংসে। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়লে লিটন দাসের সাথে জুটি বাঁধেন ইয়াসির।
খেলছিলেন বেশ সাবলীলভাবে। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে শাহীন আফ্রিদির লো বাউন্সারে আহত না হলে ইনিংসটাকে হয়তো আরো বড় করতে পারতেন ইয়াসির।
মেডিকেল রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া গেছে তার আঘাত গুরুতর ছিল না। এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। শনিবার সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে মিরপুরে। এই ম্যাচ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইয়াসির। এদিন ব্যাটিং অনুশীলন করেননি। মিরপুরের শরীর চর্চা কেন্দ্রে সময় কেটেছে তার। এরই ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে প্রথম টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেছেন ইয়াসির। ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, বল মাথায় আঘাত হানার পর আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এটা একটা মিশ্র অনুভূতি।’
ইয়াসির মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। তার বদলি হিসেবে নামা সোহান ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ১৫৩ রানে তার বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ করে পারে বাংলাদেশ। এ নিয়ে নিজের আক্ষেপ লুকাননি ইয়াসির। তিনি বলেন, ‘এটা খুব হতাশার ছিল। আমি যেভাবে ব্যাটিং করছিলাম, এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে দলের অবস্থান আরো ভালো থাকতো। উইকেটে এসেই রান করা নতুন ব্যাটসম্যানের পক্ষে সব সময় কঠিন। আমি আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেনি, এটা সত্যিই হতাশার।’