মাত্র এক সেশনেই বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই লঙ্কান স্পিনার রমেশ মেন্ডিস-লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারলো না সফরকারী দল। ২৯৭ রান তাড়া করতে নেমে আজ পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশনে উইন্ডিজ থেমে যায় ১৩২ রানে। সমান পাঁচটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন মেন্ডিস-এম্বুলদেনিয়া। ১৬৪ রানের বড় জয়ে ২-০তে সিরিজ নিশ্চিত করলো শ্রীলঙ্কা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫ রানে ক্রেইগ ব্রাথয়েটের বিদায়ের পর হাল ধরেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড-এনক্রুমা বোনার। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ মুহূর্তে ব্ল্যাকউডের বিদায়ে ৬৫/২ নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে উইন্ডিজ।
দলীয় ৯৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন শেই হোপ।
এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইনআপ। উইকেটে এসে কোনো রান যোগ করতে পারেননি রস্টন চেজ ও কাইল মায়ার্স। দেখতে দেখতে স্কোর হয়ে যায় ৯২/৫। এক ওভারেই তিন উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি উইন্ডিজ। দলীয় ১০৮ রানে শেষ স্বীকৃত ব্যাটার বোনারের বিদায়ে হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় সফরকারীদের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে তারই ব্যাট থেকে।
ম্যাচসেরা হন দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৫ রানের হার নামা ইনিংস খেলা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ২৬২ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ২টি ছক্কার মার। ১২৪ বলে ৩৯ রান করেন এম্বুলদেনিয়া। মাঠ ছাড়ার আগে শ্রীলঙ্কার হয়ে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ ১২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন তারা। ৮ উইকেটে ৩২৮ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। আজ পঞ্চম দিনের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন এম্বুলদেনিয়া। দলীয় ৩৪৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
নবম উইকেটে শ্রীলঙ্কার আগের রেকর্ড জুটি ছিল থিলান সামারাভিরা-অজন্থা মেন্ডিসের। ২০১০ সালে কলম্বোতে ভারতের ১১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। টেস্টে নবম উইকেটে শ্রীলঙ্কার শতরানের জুটি আছে আরো দুটি। ২০০৬ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চামিন্দা ভাস-নুয়ান কুলাসেকারার ১০৫ এবং ২০০৪-এ ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে সনাৎ জয়াসুরিয়া-দিলহারা ফার্নান্দো করেছিলেন ১০১ রান।