রাসেল ডমিঙ্গোর আমলে বাংলাদেশের সাফল্যের খাতাটা অনুন্নতই। তবে ঘরের মাঠে টাইগাররা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে নাকাল করায় দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের চাকরি বেশ দৃঢ় হয়। ফলস্বরূপ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই ডমিঙ্গোর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে বিসিবি। কাজের কাজ হলো কই? আরব আমিরাতে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে কেবলই ব্যর্থতা। গুঞ্জন উঠেছে খুব শিগগির ডমিঙ্গো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে পারে। তবে এসবে ভ্রুক্ষেপ করছেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। এমনকি ডমিঙ্গোর চাকরির নড়বড়ে অবস্থানের ব্যাপারে কোনো ধারণাই নেই বলে জানান তিনি। চুক্তি বৃদ্ধির সময় শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চুক্তি বাতিল করলে পুরো এক বছরের বেতন দিতে হবে তাকে। অবশ্য সূত্র অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবির চিন্তাভাবনায় ডমিঙ্গোকে বিদায় করে দেয়ার ব্যাপারটি রয়েছে। প্রসঙ্গটি একেবারেই নতুন মুমিনুলের কাছে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটা আমি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম যে এ রকম একটা ঘটনা হতে চলেছে। তো একজন অধিনায়ক হিসেবে, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটা নিয়ে আমার কথা বলা কঠিন। এটা তো বোর্ডের সিদ্ধান্ত, বোর্ড কী করবে। এগুলো নিয়ে আমার কথা বলাও কঠিন আর এগুলো নিয়ে আমি কথা বলতেও চাই না।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজেও হতাশ করেছে ডমিঙ্গোর দল। গুঞ্জন রয়েছে, বিসিবির পরিচালকদের মধ্যে একটা অংশ আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন প্রোটিয়া কোচের ওপর থেকে। ক্রিকেটারদের একটা অংশও নারাজ ডমিঙ্গোর কোচিংয়ে।