পাকিস্তান যেন বিশ্ব ক্রিকেটে পেসারদের আঁতুড়ঘর। সর্বকালের সেরা গতিময় বোলারদের তালিকা খুললে চোখে পড়বে পাকিস্তানি পেসারদের দাপট। পাকিস্তানের ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছেন সরফরাজ নেওয়াজ, ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আকতার, মোহাম্মদ শামি, ওয়াহাব রিয়াজদের মতো পেসাররা। বাহুর জোর আর কব্জির ভিন্ন কারুকাজে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেট। শাহীন শাহ আফ্রিদি বললেন গায়ের জোরে বল করতে পারলে মন্থর উইকেটেও সাফল্য পাবে পেসাররা। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি।
উপমহাদেশের উইকেট বরাবরই কিছুটা ধীর গতির হয়ে থাকে। যার সুবিধার সিংহভাগই পান স্পিনাররা।
সে তুলনায় পেসারদের জন্য কাজটা কঠিনই। তবে এমন উইকেটে কিভাবে সাফল্য পাওয়া যায় তা জানেন পাক পেসার শাহীন। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে আফ্রিদি জানালেন মিরপুরের উইকেট নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। গতকাল শাহীন আফ্রিদির বলেন, ‘এশিয়ার সব উইকেটই আসলে কম-বেশি ধীরগতির। লোকে বলে যে স্পিনারদের সহায়তা বেশি মেলে। তবে শক্তপোক্ত হলে ও গায়ের জোর থাকলে এখানেও কার্যকর হওয়া যায়। জুটি বেধে বল করতে হয়।’ চট্টগ্রামে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল। তাতেও বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানি বোলারদের। আফ্রিদির সঙ্গে সতীর্থ পেসার হাসান আলীও দেখিয়েছেন দাপট। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৭০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শাহীন শাহ। হাসান আলী ৫১ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩২ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন আফ্রিদি। ৫২ রানে ২ উইকেট নেন হাসান আলী। মিরপুরেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘হাসানেরও এখানে কৃতিত্ব আছে। হাসানের সঙ্গে যখনই আমি বোলিং করি, আমরা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নিই যে, কে কখন আক্রমণ করবে, কে রান আটকে রাখবে। আমার কাছে ব্যাপারটি হলো, ৩ ওভারের স্পেল হোক বা ৫ ওভারের, আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এভাবেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা আগের টেস্টের মতো পারফরম্যান্স দিতে চাই।’ হাসান আলীর প্রশংসা করে আফ্রিদি বলেন, ‘হাসানের সঙ্গে বোলিং দারুণ উপভোগ করি আমি। এবছর ৩৯ উইকেট তার, আমার ৪৪টি। আমরা জুটি বেধে বোলিং করি এবং নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করি, কোনো ব্যাটার ভালো খেলতে থাকলে কীভাবে তাকে আটকে রাখা যায়।’