× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা টেস্ট শুরু আজ / আলোচনায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

ব্যাটে নেই রান, টেকনিকের ঘাটতিও প্রকাশ্য। সব মিলিয়ে একাদশে জায়গা এমনিতেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল সাইফ হাসানের। সঙ্গে যোগ হলো টাইফয়েড। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তাই খেলা হচ্ছে না এই ওপেনারের। অপর ওপেনার সাদমান ইসলামও ছন্দে নেই। ঢাকা টেস্টের আগে এই উদ্বোধনী জুটিই সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট শুরু হচ্ছে আজ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরে ফিরে এলো বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির প্রসঙ্গ।
সঙ্গে হঠাৎ করে নাঈম শেখকে দলে নেয়া নিয়েও নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে অধিনায়ক মুমিনুল হককে। উইকেট নিয়ে সোজা সাফটা কথা বলেছেন তিনি। তার মতে উইকেট যেমনই হোক নিজেদের ভালো খেলতে হবে।
দেশে কিংবা বিদেশে চেনা পরিবেশ কিংবা অচেনা, পেস উইকেট কিংবা স্পিন উইকেট; সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দল যেখানেই খেলতে নামুক না কেন চিত্র একটাই- হতশ্রী পারফরম্যান্স। বিব্রতকর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে নির্বিষ বোলিং, ফলাফল বড় ব্যবধানে হার। ২১ বছর ধরে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু যেন পেশাদারিত্বের অভাব ক্রিকেটারদের মধ্যে। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টেও দেখা গেছে একই চিত্র। দুই ইনিংসের শুরুতেই বাজে ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা না হতেই নেই চার উইকেট, আর দ্বিতীয় ইনিংসে আরো বাজে অবস্থা। ২৫ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। শেষ টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হককে পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আর মুমিনুল বললেন, ধানক্ষেতেও পেশাদার ক্রিকেটারদের ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে উইকেট কিংবা এগুলো নিয়ে অজুহাত দেয়া কাম্য নয়। এটাতে আমি নিজেও একমত নই। যদি ধানক্ষেতেও খেলতে দেয়া হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেও আপনাকে ভালো খেলতে হবে। আমার মনে হয়, এসব নিয়ে অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদারিত্ব দেখালেই ভালো হয়।’
এ পর্যন্ত ১২৫ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১৫টিতে। ড্র করেছে ১৭ ম্যাচে। আর বাকি ৯৩ ম্যাচে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। আর শেষ ১০ টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে আর ড্র একটি। এই ১০ ম্যাচ টাইগাররা উপমহাদেশে নিজেদের পরিচিত কন্ডিশনে খেলেছে। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর বিপক্ষে এমন কন্ডিশনেও লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেনি। এসবের মাঝেও আছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটিং নিয়ে ভাবনা। এই ভাবনা দূর করতে মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা নাঈমকে টেস্ট দলে ডাকা হয়েছে। আর সেটি নিয়ে বিস্তর প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। যে ব্যাটসম্যানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ১৫, তাকে কেন টেস্ট স্কোয়াডে ডাকা হলো। কাল মুমিনুলও নাঈমকে নিয়ে এক রকম মুখস্ত কথাই বললেন। আগের দিন যেমনটা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তারা দু’জনেই বললেন নাঈমের ‘অনুশীলন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা’র কথা। মুমিনুল বলেন, ‘নাঈম লঙ্গার ভার্সনের ম্যাচ না খেললেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ছিল। যে কারণে ওকে আমরা বিবেচনায় এনেছি। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করে কাউকে এই অবস্থায় সুযোগ দেয়াটা ঠিক হতো না।’ লাল বল আর সাদা বলের খেলার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এই মুহূর্তে বিকল্প ছিল না বলে দাবি তার। নাঈম স্কোয়াডে থাকা পেসার খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমানদের ডেলিভারিতেও ঠিকমতো ব্যাটে-বলে করতে পারছেন না। সেখানে শাহিন আফ্রিদি হাসান আলীদের বল সামলাবেন কিভাবে? দলের আরেক ওপেনার সাদমাল ইসলামও ঠিক সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। ৭৬ রানের ইনিংস দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা সাদমান এতদিন তামিম ইকবালের ছায়ায় বেড়ে উঠেছেন। ইনজুরির কারণে তামিম দলে নেই। তাই সাদমানের দিকে নজর সবার। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে এক ইনিংসে ১৪ করেছেন, পরের ইনিংসে ১। যদিও জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে হাঁকান প্রথম টেস্ট শতক। ছোট্ট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া সাদমানের জন্য ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। ঢাকা টেস্টে সাকিব ফিরবেন, হয়তো ফিরতে পারেন তাসকিনও। ফর্মে আছেন লিটন দাস, মুশফিকুর রহীম। মোটামুটি ভালো একটা অভিষেক হওয়া ইয়াসিরের ব্যাটিং আশা জাগাচ্ছে। সাকিবের উপস্থিতি বোলিংকেও বাড়তি শক্তি জোগাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর