× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সড়ক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে শিক্ষার্থীরা

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছুটির দিন শুক্রবারও শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। দাবি আদায়ে অনড় তারা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার শিক্ষার্থীরা সড়কের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টায় মিছিল নিয়ে রামপুরা মোড়ের গোল চত্বরে সড়কের পাশে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে প্রায় ঘণ্টা খানেক তাদের দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন। কিছু শিক্ষার্থী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও লাইসেন্স চেক করেন।
দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। এরইমধ্যে ২৪শে নভেম্বর সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান ও গত সোমবার বাসের ধাক্কায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মৃত্যু হয়। এই দুই মৃত্যু আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়।
আন্দোলনের মুখে শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস চালু করার কথা জানান পরিবহন মালিকরা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শুধু রাজধানীতে নয় পুরো দেশে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের দাবি জানান। ২০১৮ সালে সড়ক ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে হয়েছিল বৃহৎ শিক্ষার্থী আন্দোলন। রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের সড়ক ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের পোশাক গায়ে জড়িয়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তখন দাবি ৯ দফা ছিল আর এখন তা হয়েছে ১১ দফা। তবে মূল দাবি, নিরাপদ সড়ক চাই।
গতকাল সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া। তিনি বলেন, আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রামপুরা ব্রিজে অবস্থান নিয়ে সড়কে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শন করবো আমরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সড়কের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে, আমরা সড়কের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবো।
তিনি বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেভাবেই এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে ফিরছিলেন শিক্ষার্থীরা। রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরুল বাড্ডার দিকে যাওয়ার সময় রাইদা পরিবহনের একটি বাস থামান তারা। বাসের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে আহ্বান জানান। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ইমন হাসান নাঈম অভিযোগ করেন, এ সময় ওই পুলিশ সদস্য তখন গায়ে হাত তোলেন। তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে গলা চেপে ধরে বলেন, তোকে রিমান্ডে নেবো। পরে আমার সহপাঠীরা প্রতিবাদ করলে তিনি সরে যান।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশের বাধা টপকিয়েই আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগতরা ঢুকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর