মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. কাওছার (৩০) নামের আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে তিনি মারা যান। এর আগে দগ্ধ দুই ছেলে মেয়ের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে। মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে ভর্তি রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
নিহতের দুলাভাই মাসুদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমার শ্যালক কাওসার শাহ সিমেন্টের জাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে এর কাজ করতেন।
মুক্তারপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। ভোরের দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর এলাকার একটি ভবন থেকে একটি পরিবারের দুই শিশু সহ চারজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে দুই শিশু ইয়াসিন (৬) ও নুহু (৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে (এইচডিইউ) বাচ্চাদের বাবা মোঃ কাওসার (৩০) নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়। তার শরীর ৫৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বাচ্চাদের মা শান্তা বেগম (২৮) তার শরীর ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় (এইচ ডি ইউ) তে ভর্তি রয়েছে।