অতিমারী পর্বে এই প্রথম দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কুক দ্বীপপূঞ্জে হানা দিল কোভিড-১৯। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার প্রথম কেস রেকর্ড করা হয়েছে এখানে। একটি ১০ বছর বয়সী ছেলে যে গত রাতে দ্বীপে ফিরেছে তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কুক দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন নিশ্চিত করেছেন যে, শিশুটি একটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইটে পৌঁছেছে যা বৃহস্পতিবার ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করেছিল। বিমানের অন্যসব যাত্রী নেতিবাচক ফলাফল নিয়ে ফিরে এসেছে।
১০ বছর বয়সী শিশুটির মা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছেন। কিন্তু শিশুটি এবং তার আরো ২ ভাইবোন এখনো টিকা নেয়ার উপযুক্ত নয়। পরিবারটিকে এজওয়াটার রিসোর্টে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা রয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের মধ্যে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী ব্রাউন বলেছেন যে, আপাতত তারা এই রিসোর্টেই থাকবে যতক্ষণ না বিস্তৃত সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনও ঝুঁকি না থাকে। গোটা বিশ্বে কোভিডের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও গত দু’বছরের মধ্যে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কুক দ্বীপের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেনি এই ভাইরাস। ২০২০-এ কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই দেশ।
পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে কোভিড থাবা বসাতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্ত খুলে দেয়ায় এবং পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেই প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছে।অতিরিক্ত সতর্কতা হিসাবে ফ্লাইটে থাকা সমস্ত কর্মীদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন , "আমরা বহু মাস ধরে সীমান্ত পুনরায় খোলার এবং সম্ভাব্য করোনভাইরাসের হুমকি মোকাবেলা করার জন্য পরিকল্পনা করেছি। আমি আমাদের জনসংখ্যার সমস্ত যোগ্য সদস্যদের টিকা দেয়ার গুরুত্বকে আবারো পুনর্ব্যক্ত করছি, যাতে আমরা জনগোষ্ঠীকে গুরুতর অসুস্থতা এবং সম্ভাব্য মৃত্যুর বিরুদ্ধে সুরক্ষার অতিরিক্ত স্তর প্রদান করতে পারি ।" তিনি বলেছেন , একবার ৫-১১ বয়সীদের ভ্যাকসিন চলে এলে তা যত দ্রুত সম্ভব শিশুদের দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সীমান্ত কর্মীরা যাতে পিপিই কিট পরেন এবং কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন - সে বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাউন।
সূত্র : nzherald.co.nz