প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে এ মহান নেতার জীবন ও আদর্শ আমাদের সাহস ও প্রেরণা যোগায়। জাতি তার অবদান সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আগামীকাল রোববার ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ এবং সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য, বরেণ্য রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মৃত্যুবরণ করেন। হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
rifat
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ১২:০৪ওহ তাই নাকি ? গণতন্ত্র