চাঁপাই নবাবগঞ্জে গরুর খামারে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে খামার মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে বেঁধে রেখে খামার থেকে ১৫টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। শুক্রবার দিবাগত রাতে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের জিনারপুর এলাকার গড়বাড়ি গরুর খামারে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গরু ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গোমস্তাপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস।
গরুর মালিক আশরাফুল ইসলাম জানান, রাতে তার স্ত্রীসহ তিনি খামারেই ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত দেড়টা থেকে ২ টার দিকে ১০/১৫ জন ডাকাত খামারের বাঁশের বাতা কেটে ঢোকে এবং পুলিশ পরিচয় দেয়। এ সময় তারা গরুর খামারে মাদক আছে বলে খামারে তল্লাশি চালায়। এরপর তারা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে আড্ডা-সাপাহার সড়কের জিনারপুর গড়বাড়ি কালভার্টের পাশে ধানের খেতে ফেলে রেখে খামারের ১৫টি গরু নিয়ে চলে যায়। পরে কোনোরকমে হাত-পায়ের বাঁধন খুলে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করি এবং আমার ভাইসহ স্থানীয়রা ছুটে আসে।
খামার মালিক আরও বলেন, ঘটনার পর দুইবার (ভোররাত ৪ টা ২৫ মিনিট এবং ৪টা ৩৭ মিনিটে) ৯৯৯-এ কল করে পুলিশি সহযোগিতা চাইলেও; কোনো পুলিশি সহায়তা পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক বদিউজ্জামন ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে আমার সব শেষ হয়ে যায়।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান, সহকারী পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) শামছুল আজম ও ওসি দিলীপ কুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি জানান, আশরাফুল ইসলামের খামার থেকে ১৫টি নয় ৯টি গরু ডাকাতি হয়েছে। শনিবার ভোররাতে ৭/৮ জনের একটি ডাকাতদল খামার মালিক ও তার স্ত্রীকে বেঁধে রেখে গরুগুলো মাঠের মধ্যদিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান জানান, পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি ও দেরি করে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পৌঁছার বিষয়টি সঠিক নয়। তিনি জানান, পুলিশের কাছে একাধিক কল এলেও মাঠে পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় কাজ করায় ঘটনাস্থলে যেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ডাকাতি হওয়া গরুগুলো উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।