পটুয়াখালী জেলা বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে পটুয়াখালী পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি’র শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে চলমান আন্দোলন ব্যাহত করার জন্য জেলা ছাত্রদলের নির্ধারিত কর্মসূচি বানচালে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদের সভাপতি শফিউল বাসার উজ্জ্বল জানান, বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে যায়। পুলিশ যাওয়ার কিছুক্ষণ পর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুনরায় এসে বিএনপি অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার পথে তাদের বাধা এবং মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন জানান, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে আমাদের বিএনপি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করেছে।
চেয়ার, টেবিল, ফ্যান ও অসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। এর আগেও কয়েকবার আমাদের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা ।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশিষ কুমার হৃদয় বলেন, অনেকদিন ধরে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। বিএনপি নিজেদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-বিভেদ রয়েছে তার দায়ভার ছাত্রলীগের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে, এরা নিজেরা অফিস ভাঙচুর করে ছাত্রলীগকে দোষারোপ করছে। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও শহরে পুলিশ টহলে রয়েছে।