× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিদ্রোহীদের মদত দেয়ার অভিযোগ / কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি জাকিরের বিরুদ্ধে বড়লেখায় বিক্ষোভ, সংবাদ সম্মেলন

বাংলারজমিন

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। গত ২৮শে নভেম্বর তৃতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদত ও তাদের পক্ষে প্রচারণা এবং নির্বাচনের পর ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করার অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাত ৯টায় বড়লেখা পৌরসভার হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের বিরুদ্ধে বড়লেখা পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও  প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বড়লেখা সদর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২৮শে নভেম্বর তৃতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে নিজবাহাদুরপুর, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর, বড়লেখা সদর ও দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এরমধ্যে বর্ণি, দাসেরবাজার, তালিমপুর, সুজানগর ও দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। ওই ইউনিয়নগুলোতে নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এসএম জাকির হোসাইন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিছু সংখ্যক বিএনপি-জামায়াত অনুসারীকে নিয়ে কাজ করেছেন। যার কারণে ওই ইউয়িনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। এমনকি জাকির অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রশাসন ম্যানেজ করে অবৈধ ব্যালটের মাধ্যমে জয় করিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেছেন। জাকির নির্বাচন পরবর্তী অর্থাৎ ভোটের চারদিন পর শুক্রবার আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অপ্যায়নসহ গোপন বৈঠক করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য মদত দিচ্ছেন।
বৈঠকের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ ছাড়া জাকির আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের পাশাপাশি পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছেন। জাকিরের এমন কার্যকলাপে বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর শাহবাজপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ বাবলু, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নৌকার পরাজিত প্রার্থী সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারির ছেলে যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আদনান, দাসেরবাজার ইউনিয়নের নৌকার পরাজিত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের বড় ভাই ফয়জুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে শনিবার বেলা দেড়টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা একটিও সঠিক নয়। গতকাল আমি বড়লেখায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। বরং নৌকার পরাজিত প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর