× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত / ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরদিকে অগ্রসর হবে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আগামী দু’দিন ঝড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,  রোববার সংকেত বাড়বে কিনা তা জানা যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত ফিশিং ট্রলার
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, উপকূলে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে সতর্ক রয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুপুরে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে রয়েছে বাগেরহাটের উপকূলবাসী।
গতকাল দিনভর সূর্য্যের দেখা মেলেনি। বিকাল থেকে গুমোদ আবহাওয়ার সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে আসড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। এই অবস্থায় উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে সকাল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের ছোট ছোট খালসহ শারণখোলা, রায়েন্দা, মোংলা ও বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি ফিশারি ঘাটে অবস্থান নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গতকাল দুপুরে বাগেরহাটের নদীর পানি ২৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে, তা এখনো বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ধেয়ে আসা খবরে দেশি-বিদেশি পর্যটক, দূবলা শুঁটকী পল্লীর জেলেসহ সকল কর্মকর্র্তা ও বনরক্ষীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রস্তুতির বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হলেও আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা ও রামপালসহ সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। প্রয়োজনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর