× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘অনেক বাস শিক্ষার্থীদের উঠায় না’

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার
ফাইল ছবি

সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথসহ সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্য নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সংগঠনের সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও অনেক বাস অর্ধেক ভাড়া নেয় না। এমনকি রাজধানীর অনেক বাসে শিক্ষার্থীদের ওঠানোই হয় না। শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বাস থেকে নামার সময় শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিবহন খাতের বর্তমান নেতৃত্ব ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে সরকারের কাছ থেকে নানাভাবে ফায়দা লুটছে। তারা রাজধানীর বাসে বারবার ঘোষণা দিয়েও সিটিং সার্ভিসের ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ না করে, এসব গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকের নেতৃত্বে পরিবর্তন জরুরি। তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে নিরাপদ সড়কের সব উদ্যোগ আটকে যাচ্ছে। সাড়ে তিন বছর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জানিয়েছিল কিছু উদ্যোগের কথাও। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ছেড়ে শ্রেণিকক্ষে ফেরার পর বিভিন্ন দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা রাস্তায় নামেন। এরপর সরকারের প্রতিশ্রুতি ও উদ্যোগও সব আটকে যায়। ফলে ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা গিয়েছিল, চলতি বছরের প্রথম আট মাসেই তা ছাড়িয়ে গেছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যখন যে পক্ষ শক্তি দেখাতে পারে, সে পক্ষকে খুশি করার চেষ্টা করে সরকার। তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা যেহেতু সংগঠিত এবং প্রভাবশালী, দিন শেষে সরকারি সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষেই যায়। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ৩০ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এর সিংহভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে শাজাহান খানের নেতৃত্বে ১০১ দফা সুপারিশ প্রণয়নের পর তা এখন ডিপ ফ্রিজে আটকা পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিবহন খাতে সুশাসন অনুপস্থিত। এ কারণে যে যার মতো করে চলছে। মহাসচিব আরও বলেন, সড়কে সবাই ইচ্ছেমতো প্রভাব বিস্তার করে আইন ভাঙছেন। চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নৈরাজ্য এখন চরম আকার ধারণ করেছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিল। তখন সবাই বলেছিলেন শিক্ষার্থীরা তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, কিছুদিন পর সবই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। রাস্তায় মৃত্যু বন্ধ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবার রাস্তায় ফিরে এলো। শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলন শুধু হাফ ভাড়ার জন্য নয়, সড়কে পুরো অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে। রাষ্ট্র এ বিশৃঙ্খলা বন্ধ না করলে, এর সমাধান পাওয়া কঠিন। দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
শামীম হাসান
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ৮:৪৭

ছাত্রদের জন্য হালফ ভাড়া শুধুমাত্র স্কুল-কলেজ যাতায়াতের জন্য না, সারাদিন ঢাকা শহরের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত পয্যন্ত স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে আড্ডা বাজী করার জন্য যত ইচ্ছা তত ঘোরা-ফেরা করার জন্য ও প্রযোজ্য এটাও মনিটর করার দরকার।

জামশেদ পাটোয়ারী
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ১২:৩৫

পরিবহন সেক্টরে সরকারের লোকজন জড়িত বলেই সরকারী কোন সিদ্ধান্ত সেখানে কার্যকর হয়না।

হেলাল
৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার, ৫:২৯

এটাই স্বাভাবিক, পারলে আরো অপমান করবে। সুযোগে গাড়িচাপা দিবে।কারণ মানবতা পালিয়েছে অনেক আগেই।

Nurun Nabi
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ৩:৩৩

Sign of Unnyon by the adminstration. Dear Students its only you can fight for right.

অন্যান্য খবর