বলিউড তারকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে ৫২ লাখ রুপি মূল্যের একটি ঘোড়া এবং ৯ লাখ রুপির একটি পার্সিয়ান বিড়াল উপহার দিয়েছিলেন ভারতের ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখর। শুধু তাই নয়, সব মিলিয়ে তিনি ১০ কোটি রুপির উপহার দিয়েছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে। এ ছাড়া তিহার জেলে থাকা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি রুপি চাঁদা আদায় করেছেন। ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তার চার্জশিটে এসব কথা বলেছে। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
দিল্লির একটি আদালতে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে এই চার্জশিট উপস্থাপন করেছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এতে অভিনেত্রী ফার্নান্দেজ ছাড়াও আছেন অভিনেত্রী নোরা ফতেহির নাম। তাকেও এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মিস ফার্নান্দেজ ও তার সহযোগীদের।
এর আগে মিডিয়ার কাছে চন্দ্রশেখর জানিয়েছিলেন, তিনি মিস ফতেহিকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন।
চার্জশিট অনুযায়ী, চন্দ্রশেখর এবং মিস ফার্নান্দেজের মধ্যে আলোচনা শুরু হয় এ বছর জানুয়ারির দিকে। এরপর থেকেই তিনি ফার্নান্দেজকে উপহার পাঠানো শুরু করেন। এর মধ্যে আছে স্বর্ণালংকার, চারটি পার্সিয়ান বিড়াল। একটি বিড়ালের দাম ৯ লাখ রুপি। একটি ঘোড়া। এর দাম ৫২ লাখ রুপি। তদন্তকারী সংস্থা ইডি আরো জানতে পেরেছে যে, চন্দ্রশেখর যখন জেলে ছিলেন তখনও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মিস ফার্নান্দেজের। ওই সময়ও তিনি চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন।
এক পর্যায়ে জামিন পান চন্দ্রশেখর। এর পরপরই তিনি মুম্বই থেকে দিল্লি পর্যন্ত একটি চার্টার্র্ড ফ্লাইট বুকিং দেন। আরেকটি ফ্লাইট ভাড়া করেন দিল্লি থেকে চেন্নাই পর্যন্ত। এসব অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। এতে আরো বলা হয়েছে, চেন্নাইয়ে গিয়ে মিস ফার্নান্দেজ এবং চন্দ্রশেখর একই হোটেলে অবস্থান করেছেন। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক কি পর্যায়ে ছিল তা অনুমেয়। জামিনে বাইরে থাকা অবস্থায় চার্টার্ড ফ্লাইটে বিমান ভাড়া হিসেবে ৮ কোটি রুপি খরচ করেছেন চন্দ্রশেখর। আদালতে ইডি আরো বলেছে, মিস ফার্নান্দেজের আত্মীয়দেরকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন চন্দ্রশেখর। চার্জশিটে বলা হয়েছে, অভিনেত্রী নোরা ফতেহিকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি, একটি আইফোন- যার মূল্য এক কোটি রুপি, তা উপহার হিসেবে দিয়েছেন চন্দ্রশেখর।
তবে এর জবাবে এর আগে নোরা ফতেহির একজন প্রতিনিধি বলেছেন, নোরা’কে ভিকটিম বানানো হয়েছে। অভিযুক্ত চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। এমনকি তিনি তাকে চেনেনও না।