মির্জাগঞ্জে মাতৃসদন নামে একটি ক্লিনিকে কর্মচারী দ্বারা করানো হয় সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন। ওই ক্লিনিকের সমন্বয়কারী/ড্রাইভার মো. আবদুস সালাম হাওলাদার কতৃক একটি সিজারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সালামের বাড়ি খুলনায়। তিনি ওই ক্লিনিকে সমন্বয়কারী হিসেবে চাকরি নিয়েছেন। পাশাপাশি ক্লিনিকের মালিকের গাড়িও চালান। ভিডিওতে দেখা যায়, সিজার স্পেশালিস্ট না হয়েও তিনি একজন প্রসূতিকে একাধিক এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করেন। করেন অস্ত্রপচারও। প্রসূতি ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, একাধিক এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন দেয়াতে প্রায় পঙ্গু হওয়ার পথে।
বিছানায় থেকে ওঠার শক্তিও নাই তার। এ ছাড়াও অভিযোগ পাওয়া যায়, ক্লিনিকের মালিক কর্মচারীদের মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে চাকরি দেয়ার পর বেতন নিয়ে করে টালবাহানা। এমনই ভুক্তভোগী মো. সালাম নামে এক কর্মচারী গত ৫ই ডিসেম্বর বকেয়া ৮ লাখ টাকা পাওয়ার দাবিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন। এতে জানা যায়, তিনি ক্লিনিকে প্যাথলজিস্ট ও ওটি ইনচার্জ হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেন। প্রতিমাসে ৩৬ হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু মাস শেষে তাকে দেয়া হতো ১৮ হাজার টাকা। বাকি টাকা চাকরি ছাড়া সময় এককালীন দেয়ার কথা। চাকরি ছাড়ার বহুদিন হলেও তাকে বকেয়া টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। সমন্বয়কারী মো. আবদুস সালাম হাওলাদারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা যা দেখছেন তা ঠিক না। মির্জাগঞ্জ মাতৃসদন ক্লিনিকের মালিক ডা. নাঈমা কবির বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। যা মনে চায় লেখুন। মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।