সাভারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফ্রিকা থেকে যারাই দেশে আসবে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে আসতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিমান বন্দরে স্ক্যানিং ব্যবস্থা জোরদার ও ল্যাবের আয়তন বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮ হাজার নতুন নার্স ও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে লকডাউনের বিষয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। গতকাল দুপুরে সাভারে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি আরও বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশ ওমিক্রনে আক্রান্ত সেখান থেকে যারাই দেশে আসতে চাইবে তাদেরকে ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। করোনা ও ওমিক্রন মোকাবিলায়ও আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা করেছি সেই সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে করোনাভাইসরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে দেশে লকডাউনের বিষয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। এ ছাড়া পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকায় এই মুহূর্তে বর্ডার বন্ধ করারও কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে ওমিক্রন ও করোনার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির জন্য জেলা শহরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংকটকালীন এই মুহূর্তে বিদেশে অবস্থানকারীদের দেশে না আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ডাক্তার ও নার্সদের পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে সাভারে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের (বিআইএইচএম) ১২তলা আধুনিক ভবনটি ঘুরে দেখেন। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।