দেশ বিদেশ
গৃহকর্মী ফেন্সিকে হত্যার পর দিয়াবাড়ীতে লাশ ফেলে আসে দম্পতি
স্টাফ রিপোর্টার
২০২১-১২-০৬
মারধরে গৃহকর্মী মারা গেলে তার মরদেহ প্রাইভেট কারে করে দিয়াবাড়ীর ঝাউবনে ফেলে এসেছিল রাজধানীর নিকেতন এলাকার এক দম্পতি। অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ হিসেবে উদ্ধার হওয়ার ৩ দিনের মাথায় সেই তরুণীকে শনাক্ত করার পাশাপাশি ঘাতক দম্পতিকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে তাদের ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি ওই গৃহকর্মীকে হত্যা করে তার মরদেহ ফেলে আসার কথাটি স্বীকার করেছে। গত ২রা ডিসেম্বর দিয়াবাড়ীর ঝাউবন এলাকা থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবতীকে শনাক্ত করা হয়। তারা জানতে পারেন যে, হত্যার শিকার যুবতীর নাম পারভীন ওরফে ফেন্সি। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর। স্বামীর নাম মোমিনুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, এক-দেড় বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় আসেন মোমিনুল। তিনি নিজে রিকশা চালাতেন। স্ত্রী পারভীন ওই সময় গুলশান নিকেতন এলাকায় জসীমুল হাসান ও সৈয়দা সামিনা হাসান দম্পতির বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেন। ওই বাসাতেই থাকতেন তিনি। তাদের একমাত্র সন্তান গ্রামে দাদীর কাছে থাকে। গত ১লা ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে গৃহকর্মী পারভীনকে মারধর করেন গৃহকর্ত্রী সামিনা হাসান। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করে চালক রমজান আলী (৪১)র সহায়তায় প্রাইভেট কারে করে দিয়াবাড়ী ঝাউবন এলাকায় পারভীনের মরদেহ ফেলে আসেন তারা।
তিনি আরও জানান, নিকেতনের ওই বাসায় কাজ নেয়ার পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে মোমিনুলকে দেখা করতে দেয়া হতো না। এর মধ্যে একদিন পারভীন ফোনে তার স্বামীকে জানান, তাকে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) দায়ের করেছিলেন মোমিনুল। এরপর একদিন মাত্র তিনি পারভীনের সঙ্গে ওই বাসায় গিয়ে দেখা করতে পেরেছিলেন। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসে তিনি বাড়ি চলে যান। ১লা ডিসেম্বর পারভীনের মরদেহ উদ্ধার ও পিবিআই তাকে শনাক্ত করার পর মোমিনুল ঢাকা আসেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত ৪ঠা ডিসেম্বর তুরাগ থানায় বাদী হয়ে নিকেতনের ওই বাসার গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী জসীমুল হাসান ও সৈয়দা সামিনা হাসানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মোমিনুল ইসলাম। মামলাটি তদন্তের ভার পায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। পরে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার আলামত হিসেবে মরদেহ ফেলে আসার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি লাঠি ও বিছানার চাদর জব্দ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় ঢাকা মেট্রোর অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি ওই গৃহকর্মীকে হত্যা করে তার মরদেহ ফেলে আসার কথাটি স্বীকার করেছে। গত ২রা ডিসেম্বর দিয়াবাড়ীর ঝাউবন এলাকা থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই যুবতীকে শনাক্ত করা হয়। তারা জানতে পারেন যে, হত্যার শিকার যুবতীর নাম পারভীন ওরফে ফেন্সি। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর। স্বামীর নাম মোমিনুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, এক-দেড় বছর আগে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় আসেন মোমিনুল। তিনি নিজে রিকশা চালাতেন। স্ত্রী পারভীন ওই সময় গুলশান নিকেতন এলাকায় জসীমুল হাসান ও সৈয়দা সামিনা হাসান দম্পতির বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেন। ওই বাসাতেই থাকতেন তিনি। তাদের একমাত্র সন্তান গ্রামে দাদীর কাছে থাকে। গত ১লা ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে গৃহকর্মী পারভীনকে মারধর করেন গৃহকর্ত্রী সামিনা হাসান। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করে চালক রমজান আলী (৪১)র সহায়তায় প্রাইভেট কারে করে দিয়াবাড়ী ঝাউবন এলাকায় পারভীনের মরদেহ ফেলে আসেন তারা।
তিনি আরও জানান, নিকেতনের ওই বাসায় কাজ নেয়ার পর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে মোমিনুলকে দেখা করতে দেয়া হতো না। এর মধ্যে একদিন পারভীন ফোনে তার স্বামীকে জানান, তাকে মারধর করা হয়। এ বিষয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) দায়ের করেছিলেন মোমিনুল। এরপর একদিন মাত্র তিনি পারভীনের সঙ্গে ওই বাসায় গিয়ে দেখা করতে পেরেছিলেন। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসে তিনি বাড়ি চলে যান। ১লা ডিসেম্বর পারভীনের মরদেহ উদ্ধার ও পিবিআই তাকে শনাক্ত করার পর মোমিনুল ঢাকা আসেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গত ৪ঠা ডিসেম্বর তুরাগ থানায় বাদী হয়ে নিকেতনের ওই বাসার গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী জসীমুল হাসান ও সৈয়দা সামিনা হাসানসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মোমিনুল ইসলাম। মামলাটি তদন্তের ভার পায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। পরে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামলার আলামত হিসেবে মরদেহ ফেলে আসার কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি লাঠি ও বিছানার চাদর জব্দ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় ঢাকা মেট্রোর অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।