লেজের জোরে প্রথম টেস্টটা নাটকীয়ভাবে ড্র করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। মুম্বইয়ে সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্টেও কি ভারতের জয় রুখতে পারবে তারা? গতকাল তৃতীয় দিনে ৬৪০ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে ১৪০ রানেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। জিততে হলে করতে হবে আরও ৪০০ রান! ড্র করতে চাইলেও টিকে থাকতে হবে পুরো ৬ সেশন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে কিউইদের ধসিয়ে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসেও অশ্বিন জাদু। তার শিকার ৩ উইকেট। অক্ষর প্যাটেল নেন এক উইকেট। নিউজিল্যান্ডের ১৪০ রানের মধ্যে ডেলির মিচেলের ব্যাট থেকেই আসে ৬০। দিন শেষে হেনরি নিকোলস ৩৬ এবং রাচিন রবীন্দ্র ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ৭ উইকেটে ২৭৬ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। চেতেশ্বর পূজারা ও শুবমান গিল উভয়েই আউট হন ৪৭ রানে। অক্ষর প্যাটেল ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়া এজাজ প্যাটেল দ্যুতি ছড়ান দ্বিতীয় ইনিংসেও। বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নেন রবীন্দ্র। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ভারত সংগ্রহ করে ৩২৫ রান। জবাবে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিল।
ফের ব্যর্থ কোহলি
কুফা কাটছেই না। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া বিরাট কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসও বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে রাচিন রবীন্দ্রের বলে সরাসরি বোল্ড হন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। ২ বছর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে তার ইনিংসটি ছিল ১৩৬ রানের। এরপর ঘরে-বাইরে ১৩ টেস্টে ৫ হাফসেঞ্চুরি থাকলেও সেঞ্চুরি নেই একটিও। সর্বোচ্চ ৭৪। কোহলির সবশেষ টেস্ট হাফসেঞ্চুরি ছিল কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন এই ব্যাটার।