× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাকিবের ছুটির প্রভাব পড়বে না দলে

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার

নিউজিল্যান্ড সফরে না যেতে ছুটি চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। শুরুতে মৌখিকভাবে আবেদন করেন তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তেব্যের পরপরই লিখিত আবেদন করতে সময় নেননি। তবে তাকে ছুটি দেয়া হবে কিনা বিসিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে সফর থেকে ছুটি চেয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠি দিয়েছেন সাকিব। এটা অনেকটাই নিশ্চিত যে সাকিব খেলছেন না নিউজিল্যান্ড সফরে। অন্যদিকে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা সাকিবকে নিয়ে সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আপতত তা হচ্ছে না।
ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে কঠিন সফরে অভিজ্ঞ বলতে শুধু মুশফিকুর রহীম আর তাইজুল ইসলাম। তবে তার ছুটি দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন দলের ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, ‘এটা (ছুটি) সাকিবের ব্যক্তিগত ব্যাপার এটা বোর্ডের ব্যাপার। এটা দলে কোনো প্রভাব ফেলে না। অন্যরা নিজের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করে। যদি কেউ না যায় তাকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো সুযোগ এখানে নেই। সাকিব বা অন্য আরও ভালো প্লেয়ার যারা আছে তারা গেলে অবশ্যই দলের শক্তি বাড়ে। যারা যাবে তাদের নিয়ে জেতার জন্যই যাব। এখানে আমরা যদি শুরুতেই অন্য মানসিকতা নিয়ে যাই, তাহলে তো প্রশ্নই আসে না ওখানে ভালো কিছু করার।’
ছুটি চাওয়ার ঘটনা সাকিবের এবারই প্রথম নয়। গত মার্চে নিউজিল্যান্ড সফর থেকেও তিনি ছুটি নেন পারিবারিক কারণে। পরে এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও যাননি। আইপিএলে খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য তখন তিনি ছিলেন ভারতে। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি ৬ মাসের বিরতি চেয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। তখন বিসিবি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি দিয়েছিল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করতে পারছেন না বাংলাদেশের পেস বিভাগ। এরপরও দলের পেসার দিয়ে আশা করছেন কোচ বাবুল। তিনি বলেন, সবাই জানি নিউজিল্যান্ডে পেস বান্ধব উইকেট থাকে। আমরা আমাদের বেস্ট পেস উইনিট নিয়ে যাচ্ছি। তাসকিন, ইবাদত, ডে বাই ডে উন্নতি করছে। বেস্ট বোলিং ইউনিট নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি ওভানে ভালো বোলিং করবে ছেলেরা। ভালো এরিয়াতে বল করতে পারে প্র্যাকটিস সেশনে যদি ভালো স্টার্ট করি আমার মনে হয় নিউজিল্যান্ডে আমরা ভালো করবো। যদিও রেকর্ড অন্য কথা বলে।’ তবে অন্যদের তুলনায় তাসকিন আহমেদের ওপর বেশি ভরসা কোচের। যে কারণে এই পেসারকে বড় দায়িত্ব নিতে হবে বলেই মনে করেন তিনি। বাবুল বলেন, তাসকিন আমাদের সবচেয়ে জোরে বল করে বা ওর খেলার অভিজ্ঞতা বেশি। ও যদি এক্সট্রা অর্ডিনারি বোলিং করতে পারে বা বাড়তি কোনো দায়িত্ব তাকে দেয়া হয় যে, ইনিশিয়ালি উইকেট নিতে হবে। অন্যরা যদি বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে ওইখানে আমরা সাকসেস হতে পারি। তবে আশা থাকলেও নিজ দলের পেসারদের তিনি খুব একটা এগিয়ে রাখতে পারলেন না। পাস মার্ক দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পিনাররা পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকে উইকেটের জন্য, কন্ডিশনের জন্য। অন্য দেশের সঙ্গে যদি আমাদের পেসারদের তুলনা করেন তাহলে ১০ এর মধ্যে হয়তো ৫-৬ দিবো।’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর