× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবহাওয়ার বিদ্রোহ, সাকিবের ‘ডাইভ’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার

মাঠে সারাদিনে খেলা হলো মাত্র ৩০ মিনিট! উইকেট কভারেই ঢাকা ছিল দিনের বড় একটি সময়। সেখানে ঝিরঝির বৃষ্টিতে জমে যায় পানি। খেলা নেই তাই ইনডোরে অনুশীলন করেছেন অনেকেই। এর মধ্যে ছিলেন ইনজুরি কাটিয়ে ঢাকা টেস্টে ফেরা সাকিব আল হাসানও। অনুশীলন করে ফেরার পথে সেই পানি দেখে হয়তো লোভ সামলাতে পারেননি। সুইমিং পুলে ঝাপ দেয়ার মতো করে দুই হাত সামনে এনে ডাইভ দিলেন। হঠাৎ দেখে অনেকের মনে হয়েছিল সাকিব মনে হয় পড়ে গেলেন। ড্রেসিংরুম থেকে ছুটে বের হয়েছিলেন সতীর্থরা।
তবে গ্যালারিতে বৃষ্টির মধ্যে খেলা শুরুর অপেক্ষায় থাকা শ’ খানেক দর্শক আনন্দে করতালি দিয়ে উঠলেন । বলতে গেলে মিরপুর টেস্টে সারা দিনে দর্শকদের এতটুকুই পাওয়া। বাকিটা কেটেছে হতাশায়। একের পর এক হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের। চট্টগ্রাম টেস্টে লিটনের সেঞ্চুরি, মুশফিকের ফিফটি, তাইজুলের ৭ উইকেট আশার আলো দেখিয়েছিল। চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পরও আত্মবিশ্বাস ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের আশা ও পরিকল্পনায় পানি ঢেলেছে আবহাওয়া। সেই আক্ষেপ ঝরলো টাইগারদের ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের কণ্ঠেও। গতকাল তিনি বলেন, ‘একটা ইনিংস খেলতে পারলে ড্র হতো। আমাদের মাইন্ডসেট এখনো পজিটিভ আছে। চট্টগ্রামে হারার পরও এখানে আমাদের প্র্যাকটিস, মিটিংস, বডি ল্যাংগুয়েজ ভালো। শুনতে খারাপ লাগলেও আমরা কখনোই ড্র চাই না চট্টগ্রামের রিভেঞ্জটা এখানে নেয়ার ইচ্ছে থাকলেও ওয়েদারের কারণে আমরা শুরু করতে পারিনি।’
নিম্নচাপের প্রভাবে দুই দিন ধরেই বৃষ্টি। যা হানা দিয়েছে মিরপুর টেস্টেও। প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৫৭ ওভার। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৬১ রান ২ উইকেট হারিয়ে। দ্বিতীয় দিন আশা ছিল অন্তত ৯৮ ওভার খেলানোর। যে কারণে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে এদিন খেলা ৩০ মিনিট এগিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। সারাদিনই ছিল মেঘলা আকাশ, ঝিরঝির বৃষ্টি। মাঝে মাঝে বৃষ্টির বেড়েছে তেজ। ৬.২ ওভার বোলিং করে বাংলাদেশ নিতে পারেনি কোনো উইকেট। ১৬১ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান যোগ করে ২৭ রান। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইেকেট ১৮৮ রান। বাবর আজম খেলছেন ৭১ রানে। আজহার আলীর রান ৫২।
বৃষ্টির কয়েক দফা বাধার পর বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে বল গড়ায় মাঠে। পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদের প্রথম বলে আলতো করে ব্যাট ছুঁইয়ে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান বাবর আজম। আগের দিনের মতো এবারও মেঘলা আকাশের নিচে বাংলাদেশের দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও খালেদ কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। দুই ব্যাটসম্যান রান বাড়াতে থাকেন অনায়াসেই। এরপরই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। ৩৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা আজহার ফিফটিতে পৌঁছান ১২৬ বলে। ৯১ টেস্টে তার ৩৪তম ফিফটি এটি, বাংলাদেশের বিপক্ষে সাত টেস্টে তৃতীয়। এর আগেই বাবরের সঙ্গে আজহারের জুটি পা রাখে তিন অঙ্কে। তৃতীয় উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন ১১৮ রানে।
বেলা ৩টায় দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন দুই আম্পায়ার। দুই দিন মিলিয়ে হলো ৬৩.২ ওভার। তবে আবহাওয়া বার্তায় পরের দুই দিনের জন?্যও নেই কোনো সুখবর। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না ঢাকা টেস্টেও টাইগারদের জন্য অপেক্ষা করছে আরো একরাশ হতাশা। তবে মাঠের খেলা না হলেও আশার আলো দেখছেন কোচ বাবুল। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি হারার পরও আমাদের টেস্টের বডি ল্যাংগুয়েজ দেখেন ইতিবাচক। হয়তো তারা একদম বিশ্বকাপে যেরকম পারফরম্যান্স করেছিল অনেকরকম কথা বলেছি মেন্টালি যে অবস্থায় ছিল তার চেয়ে কিছু পজেটিভ দিক দেখেছি। তাদের মাঠে চলাফেরা। টেস্টে পজিটিভ দিক ছিল। মাইন্ডসেটও ছিল ভালো করার।’


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর