আল্লাহ বলেছেন- "হে মানবজাতি, তোমরা মহামারীর সময়ে আমার উপর ভরসা রেখে বা আমাকে স্বরন করে সতর্কতার সাথে চললে আমিই তোমাদেরকে হেফাজত করব।" তাই আমাদের সকলকে সকল সময়েই আল্লাহর উপর ভরসা রেখে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। শুধু টিকা-ই সমাধান দিতে পারবে না। কারন টিকার শতভাগ কার্যকারীতার বিষয়ে বিজ্ঞানীগণ এখনো নিশ্চয়তা দিতে পারেন নাই। করনায় এনটিবডি তৈরীর ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারীতা ৬ মাস পর কমতে শুরু করে। তাছাড়া, কখন কোন ধরনের ভয়ঙ্কর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তাহা কেউ বলতে পারে না। তাই সকল নাগরিককে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পরতে অভ্যস্ত করাতে সরকারকে পূর্ব থেকেই পরিকল্পিত কঠোর ব্যব্যস্থা নিতে হবে।
সৃষ্টিকর্তা বলেছেন হে মানবজাতি তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।সেটা কিভাবে?উনার সৃষ্টির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করে।পৃথিবীর ধনী দেশগুলোই কিন্তু এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে টিকা উদ্ভাবন করেছে।গবেষণা করতেও কিন্তু অর্থের প্রয়োজন।যেটা গরীব দেশের নাই।আর গরীব দেশকে ভালোবাসার থেকেই সেই টিকা সারা বিশ্বময় সহজলভ্য করেছে অল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে।আমরা টিকা কিনেছি।অনুদানও পেয়েছি অনেক।কিন্তু গবেষণা করতে পারি নাই।সবই হয়েছে ধনী দেশের কারণেই।আশা করি সামনের মহামারি গুলোতেও এই ধনী দেশগুলোই আমাদের টিকা দেবে আর আমরা বেঁচে থাকবো যদি আমাদের আয়ু থাকে তবেই।
এই পৃথিবীতে পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। কে বেশি শক্তিশালী - পারমাণবিক বোমা, না কি জীবাণু বোমা...? করোনা ভাইরাস একটি জীবাণু বোমা। এই ধরনের অধিক শক্তিশালী জীবাণু বোমা পর্যায়ক্রমে আসছে। কিভাবে এই জীবাণু বোমা থেকে বাঁচা যায়, সময় থাকতে ভাবা প্রয়োজন।
যে সব ধনী দেশ টিকা মজুদ করে গরীব দেশে সরবরাহ বন্ধ রেখে ছিল তাদের জনগণকে আল্লাহ্ অন্ধ করে টিকার বিরোধী মনোভাব ঢুকিয়ে দিয়ে ছিলেন । তারা সংক্রমণ অব্যাহত রেখেছে । আজ সেই সব ধনী দেশে মহামারী পুনরায় দেখা দিয়েছে । অথচ গরীব দেশকে আল্লাহ্ সাহায্য করে রক্ষা করে যাচ্ছেন । মৃত্যু ও আক্রান্ত অনেক কম । একেই বলে বিধির বিধান ।
মহামারির সবে তো শুরু।একটার পর একটা আসতেই থাকবে।তা সে করোনাই ভোল পালটে আসুক আর নতুন কিছু যাই আসুক না কেন একটার থেকে অন্যটা অধিক প্রাণঘাতী হবে।এভাবেই ধীরে ধীরে আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে চলে যাব।আজ এই দিনটাই শেষ দিন হতে পারে।কেউ জানি না আমরা।
মহামারীর চেয়েও ভয়ংকর পৃথিবীর শক্তিধর ধনীদেশগুলোর বৈষম্যমূলক অনিয়ন্ত্রিত আচরণ। আর ভবিষ্যতে পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হবে সেটিই। এতো মহামারীর মধ্যেও গরীব দেশগুলোর মানুষ টীকা না পেয়েও বেঁচে আছে; এবং থাকবেও।
Md. Abbas Uddin
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৪:০৫করনা মন এক ধরনের ভাইরাস, যাহা থেকে যদি প্রতিবেশীকে সুরক্ষিত না রেখে শুধু "আমি নিজেই সুরক্ষিত থাকবো"- এই নীতি অবলম্বন করি তাহলে আমি নিজেই অরক্ষিত হয়ে পড়ব। তাই এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র সহ সারা বিশ্বের নাগরিকদেরকেই টিকা সহ সার্বিকভাবে আল্লহার উপর ভরসা রেখে সুরক্ষার ব্যব্যস্থা নিতে হবে । অন্যথায় কেহই রক্ষা পাব না। এক্ষেত্রে টিকা বৈষম্যের আশ্রয় নেয়া চলবে না। করনার চেয়েও আরো ভয়ঙ্কর ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই নীতি অবলম্বন করতে হবে।