× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পরবর্তী মহামারি হবে অধিক প্রাণঘাতী- সারা গিলবার্ট

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৬, ২০২১, সোমবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

পরবর্তী মহামারি হতে পারে করোনা ভাইরাস থেকেও অধিক প্রাণঘাতী। এ সতর্কতা দিয়েছেন অক্সফোর্ড/এস্ট্রাজেনেকার টিকা উদ্ভাবনকারী বিজ্ঞানীদের অন্যতম প্রফেসর সারা গিলবার্ট। ৪৪তম রিচার্ড ডিম্বলবি লেকচারে তিনি এ কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।এতে তিনি সতর্কতা দিয়েছেন। বলেছেন, মহামারি প্রস্তুতিতে অধিক পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। তার কাছে হেরে যাওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা অত্যাবশ্যক। এছাড়া তিনি করোনাভাইরাস এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সম্পর্কে সতর্কতা উচ্চারণ করেন। বলেন, বর্তমান যেসব টিকা আছে তা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর কমেই হতে পারে।
এ ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না যাওয়া পর্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।

তিনি আরো বলেন বর্তমানে যে ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে এটাই সর্বশেষ ভাইরাস নয়। আমাদের জীবন এবং জীবিকাকে হুমকিতে ফেলেছে এই ভাইরাস সংক্রমণ। প্রকৃত সত্য হলো- এর পরবর্তী ভাইরাস সংক্রমণ বা মহামারি হবে আরও ভয়াবহ। যা হবে আরও অধিক মাত্রায় সংক্রামক, অধিকমাত্রায় প্রাণঘাতী অথবা উভয়ই।

তাই এখনই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। বলেন, আমরা যে অগ্রগতি, যে জ্ঞান অর্জন করেছি, সেটাকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, স্পাইক প্রোটিনে যে রূপান্তর ঘটছে তার কারণে এই ভাইরাস অধিক মাত্রায় সংক্রামক। এর অর্থ হলো এই ভাইরাসে নতুন করে পরিবর্তনের অর্থই হচ্ছে টিকার ফলে দেহে যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে অথবা অন্য ভ্যারিয়েন্ট এর ফলে যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে- তা কম মাত্রায় ওমিক্রনের কাছে প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারবে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না পারবো, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত এবং এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত যার ফলে এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার কমে যায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Md. Abbas Uddin
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৪:০৫

করনা মন এক ধরনের ভাইরাস, যাহা থেকে যদি প্রতিবেশীকে সুরক্ষিত না রেখে শুধু "আমি নিজেই সুরক্ষিত থাকবো"- এই নীতি অবলম্বন করি তাহলে আমি নিজেই অরক্ষিত হয়ে পড়ব। তাই এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র সহ সারা বিশ্বের নাগরিকদেরকেই টিকা সহ সার্বিকভাবে আল্লহার উপর ভরসা রেখে সুরক্ষার ব্যব্যস্থা নিতে হবে । অন্যথায় কেহই রক্ষা পাব না। এক্ষেত্রে টিকা বৈষম্যের আশ্রয় নেয়া চলবে না। করনার চেয়েও আরো ভয়ঙ্কর ভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই নীতি অবলম্বন করতে হবে।

Md. Abbas Uddin
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৩:৫৮

আল্লাহ বলেছেন- "হে মানবজাতি, তোমরা মহামারীর সময়ে আমার উপর ভরসা রেখে বা আমাকে স্বরন করে সতর্কতার সাথে চললে আমিই তোমাদেরকে হেফাজত করব।" তাই আমাদের সকলকে সকল সময়েই আল্লাহর উপর ভরসা রেখে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। শুধু টিকা-ই সমাধান দিতে পারবে না। কারন টিকার শতভাগ কার্যকারীতার বিষয়ে বিজ্ঞানীগণ এখনো নিশ্চয়তা দিতে পারেন নাই। করনায় এনটিবডি তৈরীর ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারীতা ৬ মাস পর কমতে শুরু করে। তাছাড়া, কখন কোন ধরনের ভয়ঙ্কর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তাহা কেউ বলতে পারে না। তাই সকল নাগরিককে স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক পরতে অভ্যস্ত করাতে সরকারকে পূর্ব থেকেই পরিকল্পিত কঠোর ব্যব্যস্থা নিতে হবে।

সুষমা
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ১:০৪

সৃষ্টিকর্তা বলেছেন হে মানবজাতি তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।সেটা কিভাবে?উনার সৃষ্টির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করে।পৃথিবীর ধনী দেশগুলোই কিন্তু এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে টিকা উদ্ভাবন করেছে।গবেষণা করতেও কিন্তু অর্থের প্রয়োজন।যেটা গরীব দেশের নাই।আর গরীব দেশকে ভালোবাসার থেকেই সেই টিকা সারা বিশ্বময় সহজলভ্য করেছে অল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে।আমরা টিকা কিনেছি।অনুদানও পেয়েছি অনেক।কিন্তু গবেষণা করতে পারি নাই।সবই হয়েছে ধনী দেশের কারণেই।আশা করি সামনের মহামারি গুলোতেও এই ধনী দেশগুলোই আমাদের টিকা দেবে আর আমরা বেঁচে থাকবো যদি আমাদের আয়ু থাকে তবেই।

Md Emdadul Haque
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ১২:৩৩

এই পৃথিবীতে পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। কে বেশি শক্তিশালী - পারমাণবিক বোমা, না কি জীবাণু বোমা...? করোনা ভাইরাস একটি জীবাণু বোমা। এই ধরনের অধিক শক্তিশালী জীবাণু বোমা পর্যায়ক্রমে আসছে। কিভাবে এই জীবাণু বোমা থেকে বাঁচা যায়, সময় থাকতে ভাবা প্রয়োজন।

Kazi
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ১২:০৯

যে সব ধনী দেশ টিকা মজুদ করে গরীব দেশে সরবরাহ বন্ধ রেখে ছিল তাদের জনগণকে আল্লাহ্ অন্ধ করে টিকার বিরোধী মনোভাব ঢুকিয়ে দিয়ে ছিলেন । তারা সংক্রমণ অব্যাহত রেখেছে । আজ সেই সব ধনী দেশে মহামারী পুনরায় দেখা দিয়েছে । অথচ গরীব দেশকে আল্লাহ্ সাহায্য করে রক্ষা করে যাচ্ছেন । মৃত্যু ও আক্রান্ত অনেক কম । একেই বলে বিধির বিধান ।

সুষমা
৫ ডিসেম্বর ২০২১, রবিবার, ১১:৫০

মহামারির সবে তো শুরু।একটার পর একটা আসতেই থাকবে।তা সে করোনাই ভোল পালটে আসুক আর নতুন কিছু যাই আসুক না কেন একটার থেকে অন্যটা অধিক প্রাণঘাতী হবে।এভাবেই ধীরে ধীরে আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে চলে যাব।আজ এই দিনটাই শেষ দিন হতে পারে।কেউ জানি না আমরা।

ফজলু
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ১১:২২

মহামারীর চেয়েও ভয়ংকর পৃথিবীর শক্তিধর ধনীদেশগুলোর বৈষম্যমূলক অনিয়ন্ত্রিত আচরণ। আর ভবিষ্যতে পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হবে সেটিই। এতো মহামারীর মধ্যেও গরীব দেশগুলোর মানুষ টীকা না পেয়েও বেঁচে আছে; এবং থাকবেও।

অন্যান্য খবর