দর্জির স্বামী নিজের পছন্দমতো ব্লাউজ সেলাই করে দিতে না পারার কারণে ভারতের হায়দ্রাবাদে আত্মহত্যা করেছেন তার স্ত্রী বিজয়ালক্ষী (৩৫)। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের আম্বারপেতে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিজয়ালক্ষী তার স্বামীকে নিজের পছন্দমত ব্লাউজ সেলাই করে দিতে বলেছিলেন। তার স্বামী ব্লাউজ সেলাই করে দিয়েছিলেনও। কিন্তু পছন্দ হয়নি বিজয়লক্ষ্মীর। এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। এরপর নিজের বেডরুমে আত্মহত্যা করেন বিজয়লক্ষ্মী।
বেডরুম থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয় হায়দ্রাবাদের গোলনাকা তিরুমালা নগরে স্কুলগামী দুই সন্তান, স্বামী শ্রীনিবাসকে নিয়ে ছিল বিজয়ালক্ষীর সংসার। তার স্বামী ফেরি করে শাড়ি, ব্লাউজ ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বিক্রি করতেন ফেরি করে। আর ঘরে বসে সেলাই করতেন ব্লাউজ, বিভিন্ন পোশাক। দু'একদিন আগে তিনি নিজের স্ত্রীর জন্য একটি ব্লাউজ সেলাই করেন। কিন্তু তা পছন্দ হয়নি বিজয়লক্ষ্মীর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়।
বিজয়লক্ষ্মীর দাবি ছিল আবার নতুন করে সেলাই করে দিতে হবে ব্লাউজ। কিন্তু তার সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেন শ্রীনিবাস। পক্ষান্তরে শ্রীনিবাস জানিয়ে দেন, পছন্দ না হলে নিজের মতো করে ব্লাউজ সেলাই করে নিতে। বিষয়টি বিজয়লক্ষ্মীর কাছে প্রচণ্ড অপমানের মনে হয়েছে। ঘটনার দিন তাদের সন্তান যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দেখতে পায় ঘরের দরজা বন্ধ, একটানা দরজায় নক করতে থাকে। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলে না। এক পর্যায়ে খবর পৌঁছে যায় শ্রীনিবাসের কাছে। তিনি দৌড়ে বাড়ি ফেরেন। দেখতে পান ঘরের দরজা ভিতর থেকে আটকানো। নক করেন দরজায়। কিন্তু কোনো সাড়া মেলে না ভিতর থেকে। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর দরজা ভেঙে ফেলা হয়। তিনি ও অন্যরা দেখতে পান, ঘরের মধ্যে পড়ে আছে বিজয়ালক্ষীর মৃতদেহ। বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। ইন্সপেক্টর পি. সুধাকর বলেছেন, শ্রীনিবাস তাদেরকে জানিয়েছেন যে এর আগেও যখন রাগারাগি হতো, হতাশায় ভুগতেন বিজয়ালক্ষী, তখন তার স্ত্রী নিজেকে ঘরের ভিতরে বন্দি করে রাখতেন। তাই তিনি এবারও বড় কিছু ঘটে যাবে ভাবতে পারেননি। এজন্য তাকে বাড়িতে একা রেখে বাইরে বেরিয়ে যান। যেহেতু বিজয়লক্ষী আত্মহত্যার কোনো নোট লিখে যান নি, সেজন্য এই মৃত্যুকে সন্দেহজনক মৃত্যু হিসেবে একটি মামলা হয়েছে।
Lutfor Rahman
৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার, ৪:৫৭This is very sad i hope no more do this further