× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মহামারি নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র আছে বিশ্বের, কিন্তু তার ব্যবহার হচ্ছে না

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) ডিসেম্বর ৬, ২০২১, সোমবার, ৫:৪৩ অপরাহ্ন

কোভিড-১৯ মহামারি আজীবন থাকবে না। এই মহামারি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একসময় বিলীন হয়ে যাবে। তৃতীয় বছরে পা দিতে যাচ্ছে এই মহামারি। এ সময়ে নতুন ভ্যারিয়েন্টের মধ্য দিয়ে আবারো একবার বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে কোভিড। তবে এটিও ভ্যাকসিন, যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং মানুষের নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে কমে আসবে। এরপরেও যদি ভাইরাস চলে না যায় তাহলেও সময়ের সঙ্গে মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং যেভাবেই হোক কোভিডের সঙ্গে আমরা টিকে থাকতে পারব।

বিশেষজ্ঞরাও এ বিষয়টির সঙ্গে একমত। বৃটেনের ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের প্রফেসর পল হান্টার বলেন, মহামারি বিশেষজ্ঞদের বড় অংশটিই বিশ্বাস করেন যে এই ভাইরাস আমাদের মধ্যে টিকে থাকবে। আমাদের নাতি-নাতনিরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে।
তবে কোভিড ততদিনে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে কারণ এটি তখন সাধারণ ঠান্ডা-কাশির মতো রোগে পরিণত হবে।

এরপরেও প্রশ্ন থেকে যায় যে, ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে কত বছর লাগবে। এর উত্তর মোটেও আমাদের ভাগ্যের উপরে নির্ভর করছে না। এর বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণই মানুষের হাতে রয়েছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার, কন্টাক্ট ট্রেসিং, জিন বিশ্লেষণ, নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সহজ কথায়, মহামারি থামানোর অস্ত্র মানুষের কাছেই আছে। যদিও মহামারির ২০ মাস পরেও অনেক অস্ত্রই এখনো ব্যাবহার করা হয়নি। ডিউক গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের সহকারি পরিচালক আন্দ্রে টেইলর বলেন, এটি একটি বড় সমস্যা। কখনো আমাদের কোনো পরিকল্পনা ছিলনা, এখনো বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা এখনো একটি বিশ্ব মহামারি মোকাবেলা করতে যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠিনি। আমাদের সেরকম অবকাঠামো নেই, নেতৃত্ব নেই এবং কারো সেই দায়বদ্ধতা নেই।

কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় কোভিডকে বেশি ভয় পায়। তবে এই মহামারি মোকাবেলায় শুধু কিছু দেশকে নয় বিশ্ব পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশগুলোর মধ্যে ভ্যাকসিন ও তথ্য ভাগাভাগি করে নেয়ায় এখনো বিশ্ব আশাবাঞ্চক কিছু দেখাতে পারেনি। এটি করা গেলে মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করেন বেশীরভাগ বিশেষজ্ঞ। টেইলর বলেন, আমরা আগে থেকেই জানতাম এমন জাতীয়তাবাদী পদক্ষেপ নিলে তার কী পরিণতি হবে। কিন্তু তারপরেও আমরা সেরকমটাই করলাম। এখনো বিশ্বে মহামারি রয়ে গেছে এটি তারই পরিণতি।

মহামারি মোকাবেলা করতে বিশ্বের কাছে সবথেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে ভ্যাকসিন। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকরি একাধিক ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে। অন্য রোগের ক্ষেত্রে যেখানে কমপক্ষে ৪ বছর লাগতো সেখানে কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে অবিশ্বাস্য গতিতে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন কতখানি কার্যকরি তা সহজেই বুঝা যায়। বিশ্বে যত মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন কিংবা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন তাদের দেহে কোভিডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। ফলে তারা এরপরেও কোভিড আক্রান্ত হলেও সেটি আর গুরুতর হবে না। অর্থাৎ, প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্রমেই কোভিডকে সাধারণ ভাইরাসে পরিণত করা সম্ভব। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের সকল মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে।

যেসব দেশে প্রায় সকল নাগরিককেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে সেখানেও কোভিড ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসে ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এটিই প্রমাণ করে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে। এটি করা গেলে ভাইরাস হয়তো টিকে থাকবে কিন্তু বড় রকমের সংক্রমণ তৈরি করতে পারবে না। ধনি দেশগুলো এখন তাদের শিশুদেরও ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আবার অনেক দেশই ভ্যাকসিনের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে নাগরিকদের উৎসাহিত করছে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন এসব পদক্ষেপ ভবিষ্যতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কিন্তু এরপরেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতক্ষণ না বিশ্বের সবাই কোভিড থেকে নিরাপদ হচ্ছে, ততদিন কেউই এ থেকে নিরাপদ নয়। এ জন্য বিশ্বজুড়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরী। আর এ জন্য এখন বিশ্ব নেতৃত্বের উচিৎ নাটকীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
SJ
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ১:৪৫

জনাব, এটা কেমন যুক্তি হলো ((((যেসব দেশে প্রায় সকল নাগরিককেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে সেখানেও কোভিড ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসে ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এটিই প্রমাণ করে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে)))) বরং এ কথা প্রমান করে টিকা কাজে দিচ্ছে না সান্তনা মাত্র ,বাণিজ্য। এমন ভ্যারিয়েন্ট আসতেই থাকবে তবে কি আপনি টিকার মধ্যে ডুবে থাকবেন???? কোনো একদিন করোনার চেয়েও বয়াবহ রুপ নিবে এই টিকা !!!!

অন্যান্য খবর