× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নৌকা পাননি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৭ চেয়ারম্যান, মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি নেতা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত রোববার দলের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। সদরের ৩টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানদের বদলে মনোনয়ন মিলেছে নতুন মুখের। আর আশুগঞ্জ উপজেলার ৪ ইউনিয়নেও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যানরা।
এদিকে, আশুগঞ্জের তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নে নৌকার কাণ্ডারি করা হয়েছে বিএনপি নেতা সোলাইমান মিয়াকে। এর আগে মনোনয়নের জন্য তার নাম ১ নম্বরে প্রস্তাব করেন আশুগঞ্জ উপজেলা ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সোলাইমান মিয়া ঢাকায় তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার। সেখানে তৃণমূলের সভা হলেও প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটের প্রক্রিয়া হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বসে আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী সফিউল্লাহ মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু নাসের আহমেদ, হানিফ মুন্সি ও খোরশেদ আলম প্রার্থী নামের তালিকা চূড়ান্ত করে ঢাকায় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠান। এতে তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নে ধনাঢ্য সোলাইমান মিয়ার নাম ১ নম্বরে দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫শে নভেম্বর তালশহর ইউনিয়ন বিএনপি’র যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় সেখানে ২৮ নম্বর সদস্য হিসেবে সোলাইমান মিয়ার নাম রয়েছে। আর তার বড় ভাই হারুন অর রশিদের নাম রয়েছে ২৫ নম্বরে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০১৭ সালের ১লা মে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যে কমিটি হয় সেখানে সোলাইমান মিয়াকে ১৫ নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তাকে আবারো বহিষ্কার করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাফেজের স্বাক্ষরে ওই বছরের ১লা নভেম্বর দেয়া বহিষ্কারাদেশের চিঠিতে বিএনপি’র পদবির তথ্য গোপন করে সোলাইমান মিয়া আওয়ামী লীগে যোগদান করেন বলে উল্লেখ করা হয় এবং আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে তাকে সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করার কথা বলা হয়। তবে সোলাইমান মিয়া নিজেকে এখন তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দাবি করেন। তার বড় ভাই হারুন অর রশিদ বিএনপি’র রাজনীতির অর্থ জোগানদাতাদের অন্যতম। এদিকে, আশুগঞ্জের শরীফপুর ইউনিয়নে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলার বিএনপি নেতার ভাই। জানা যায়, মনোনয়নপ্রাপ্ত মো. মহিউদ্দিনের ভাই আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে উপজেলা কমিটির ১৪ নম্বর সদস্য। তার পিতা আবু শামা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির  সভাপতি ছিলেন।
সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুরের পরিবর্তে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুর রশিদ ভূঁইয়া, তালশহর পূর্ব ইউনিয়নে এনামুল হক ওসমানের পরিবর্তে আবদুল সালাম এবং সাদেকপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হাইয়ের পরিবর্তে মো. নাছির উদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। অন্য ৮টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানরাই আবার মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হচ্ছেন- মাছিহাতা ইউনিয়নে আল আমিনুল হক পাভেল, বাসুদেবে মোহাম্মদ এম আলম ভূঁইয়া, সুলতানপুরে শেখ ওমর ফারুক, রামরাইলে মো. শাহাদাত খান, নাটাই উত্তরে মো. হাবিবুল্লাহ বাহার, মজলিশপুরে মো. তাজুল ইসলাম, বুধলে আবদুল হক এবং নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নে মো. নাজমুল হক। তবে নাটাই দক্ষিণের মেয়াদ না হওয়ায় বর্তমান সময়সূচিতে নির্বাচন হচ্ছে না। আশুগঞ্জের তালশহর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু শামারের পরিবর্তে মো. সোলাইমান মিয়া, চরচারতলা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত জিয়া উদ্দিন খন্দকারের পরিবর্তে মো. আইয়ুব খান, লালপুরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত আবুল খায়েরের পরিবর্তে মো. মোরশেদ মিয়া, শরীফপুর ইউনিয়নে সাফি উদ্দিন চৌধুরীর পরিবর্তে মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। অন্য ৪টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানরাই মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন- আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নে মো. সালাহ উদ্দিন, দুর্গাপুরে জিয়াউল করিম খান সাজু, আড়াইসিধায় মো. সেলিম ও তারুয়া ইউনিয়নে ইদ্রিছ মিয়া। পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ই জানুয়ারি এসব ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর