× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঠিকাদারের গাফিলতিতে আবারো ডুবলো কয়রার গাতিরঘেরী

বাংলারজমিন

রিয়াছাদ আলী, কয়রা (খুলনা) থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম আবারো প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় দুইশ’ পরিবার। ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পানিবন্দি পারিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। নদীতে প্রবল স্রোত ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শনিবার রাতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পুনরায় ভেঙে যায়। চলতি বছরের ২৬শে মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে একই স্থানে ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে সেখানকার মানুষ। স্থানীয় এমপির প্রচেষ্টায় ও এলাকার মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বাঁধটি মেরামত সম্ভব হয়। তারপর ওই স্থানের বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছিল।
কিন্তু ঠিকাদার যথাসময়ে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না করায় আবার ভেঙে গেল। এতে করে প্লাবিত এলাকার মানুষ আবারো দুর্ভোগে পড়লো।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন (বোর্ড বিভাগ-২) সূত্রে জানা গেছে, জরুরিভিত্তিতে খুলনার কয়রা উপজেলার পোল্ডার ১৪/১ এর হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে ৪১০ মিটার পর্যন্ত  টিউব দ্বারা রিং বাঁধ ও মাটি দিয়ে স্লোপ নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়। গাতিরঘেরী গ্রামের ভবেশ মণ্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর প্রায় পাঁচ মাস পানিবন্দি ছিলাম। মাসখানেক আগে বাঁধ হওয়ায় মনে করেছিলাম বিধাতা হয়তো আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে আবারো বাঁধ ভেঙে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জানিনা এ দশা থেকে আবার কবে মুক্ত হবো। হরিহারপুর গ্রামের অনিমা মণ্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঘরবাড়ি ভেঙে গেয়েছিল।
৬ মাস ধরে খুপড়ি ঘরে পরিবার নিয়ে বাস করেছি। বাঁধ হওয়ায় নতুন করে ঘর তৈরি করার স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু সেটা দুঃস্বপ্ন থেকে গেল। আবরো পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। তিনি জরুরি ভিত্তিতে বাঁধের কাজ পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানান। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপ-সহকারী প্রকৌশল মশিউল আবেদিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ওই স্থানে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই এলাকার মানুষকে পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য ইতিমধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ঐ এলাকার মানুষের শীত নিবারণের জন্য শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর