× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজারের অন্ধমনু খালে সেতু না থাকায় দুর্ভোগ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

জেলার সদর উপজেলার অন্ধমনু খালের উপর একটি পথচারী সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সদর উপজেলার রাতগাঁও গ্রামে অন্ধমনু খালের অবস্থান। ওই খালটির উপর একটি পথচারী সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।  তারা  ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাতগাঁও গ্রামের মাঝপাড়ার উপর দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর অন্ধমনু খাল গ্রামটিকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্ত করেছে। মাঝপাড়ায় এলাকায় প্রায় ৩-৪ হাজার মানুষের বসবাস। মাঝপাড়ার দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে শমসেরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোবারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, এলাকার একমাত্র ডিগ্রি কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বাজার। অন্যদিকে উত্তর পাড়ে রয়েছে মাঝপাড়ার জনগণের জীবিকার অন্যতম আধার বিস্তীর্ণ কৃষি জমি এবং প্রায় ৪০টি পরিবারের বসবাস। বর্ষাকালে পানিতে টুইটুম্বুর আর বছরে প্রায় ১০ মাস পানিতে ভরাট থাকে অন্ধমনু। যার ফলে বছরে ১০ মাসই এলাকার জনসাধারণের উত্তর-দক্ষিণে যাতায়াতে দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকে না।
কিন্তু বাকি ১০ মাস উত্তর পাড়ের জনসাধারণ ও ছাত্রছাত্রীদের গোবিন্দপুর-মৌলভীবাজার রাস্তা ধরে অনেক পথ ঘুরে প্রায় ১ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ বা বাজার-হাটে আসতে হয়। একইভাবে দক্ষিণ পাড়ের জনগণকেও একই রাস্তা ধরে ১ ঘণ্টা হেঁটে উত্তর পাড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, কৃষি কাজের জন্য উত্তর পাড়ে পৌঁছাতে হয়। আবার ফসল নিয়ে বিশেষত ধানের বোঝা নিয়ে এতটা পথ ঘুরে আসতে শ্রম, সময় ও আর্থিক খরচও অনেক বেড়ে যায়। অথচ স্বল্প ব্যয়ে অন্ধমনুর উপর পায়ে হেঁটে পারাপারের জন্য একটি পথচারী সেতু থাকলে মাত্র ৮-১০ মিনিটেই উত্তর-দক্ষিণে যাতায়াত করা সম্ভব হতো। পথচারী সেতু হলে উভয় পাড়ের জনসাধারণের জীবনে বিরাট উপকার হবে। শিক্ষার্থীরা যেমন পড়ালেখায় আরও উৎসাহিত ও মনোযোগী হবে। ঝরে পড়ার হার কমবে। তেমনি কৃষিকাজেও ব্যাপক উন্নতি হবে। সামগ্রিকভাবে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। এ বিষয়ে গ্রামের তরুণ সমাজকর্মী সুহেল আহমেদ সুবেলসহ অনেকেই জানান, গত বছর আমরা গ্রামবাসীদের পারাপারের জন্য একটি পথচারী সেতুর দাবিতে মানববন্ধন ও ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করি। সেই সময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা গ্রামবাসীকে প্রকৌশলীসহ সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে গত বর্ষার সময়ে গ্রামের কিছু পরিবারের নিকট হতে তিনশ’ টাকা করে চাঁদা তুলে ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঁশের তৈরি এই সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাঁশের সাঁকো দিয়ে ধানের বোঝা নিয়ে কৃষকদের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। কোনো কোনো সময় ধানের বোঝা নিয়ে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে। এজন্য অন্ধমনু খালের উপর একটি পাকা পথচারী সেতু নির্মাণের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। ১লা ডিসেম্বর আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমেদের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছি। গ্রামবাসী অধীর অপেক্ষায় আছেন এবার হয়তো মাননীয় সংসদের উদ্যোগ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ কাটবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর