চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক নির্মিত গরিব মুর্দার ফ্রি গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা বন্ধে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত নির্দেশের ওপর স্থিতিবস্থার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বাধা প্রদানকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে বিবাদীগণকে রুল জারি করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মামুনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামান-এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দায়েরকৃত মামলাটির উপর এই রায় দেন। এর আগে সেবা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ১০২ ধারায় একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এতে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবিরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিবাদী করা হয়। আবেদনকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফা। এই বিষয়ে সেবা সংস্থাটির চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন বলেন, আমরা গরিব অসহায় মানুষের জন্য চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেখানে ‘শেষ স্পর্শ’ নামে একটি ফ্রি মুর্দা গোসলখানা তৈরি করেছিলাম। তবে যেইমাত্র গোসলখানা নির্মাণসহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে এটি উদ্বোধন করতে গেলাম, কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। আদালত আজকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আদেশের ওপর স্টে অর্ডার জারি করেছে। পাশাপাশি ওনাদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ৫ই আগস্ট সেবা সংস্থা শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে সেখানে গরিব দুঃস্থদের জন্য ফ্রি লাশ গোসলখানা নির্মাণের একটি লিখিত অনুমতি দেয়। সেবা সংস্থাটি তখন বিপুল অর্থ ব্যয় করে নির্মাণ কাজ শেষ করার পর ১৯শে নভেম্বর গোসলখানাটি উদ্ব্ভোধনের জন্য চমেক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে গত ২২শে নভেম্বর সেখানের সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলে ও গোসলখানায় তালা ঝুলিয়ে দেয় । এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিনে গত ২রা ডিসেম্বর ‘উদ্বোধনের আগেই বন্ধ চমেক হাসপাতালে গরিব মুর্দার ফ্রি গোসলখানা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।