× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নোয়াখালীতে নৌকা প্রার্থীর হুঙ্কার / ‘কেন্দ্র দখল করলে আমরা করবো জোর করে ভোট নিলে আমরা নিবো’

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

‘আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনাদের কাছে ভোট দাবি করছি। আপনারা আগামী ২৬ তারিখে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। কোনো কেন্দ্র উনি নিজের হাতে নিয়ে যাবে, এগুলো খামোখা (ভুয়া) কথা। কেন্দ্র দখল করলে আমরা করবো, জোর করে ভোট নিলে আমরা নিবো, কারণ আমরা সরকারের প্রতিনিধি।’ শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনকালে নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একই অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলুর কর্মী ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, এবারের ভোটে প্রতি রাস্তার মোড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। যারা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছে তাদের তালিকা আমরা কড়ায় গণ্ডায় নিবো।
আমরা কাউকে ছাড় দিবো না। ২৬শে ডিসেম্বর তারিখে ভোটের ফলাফল নিয়ে ঘরে ফেরার আগাম ঘোষণা দেন তিনি। চেয়ারম্যান, মেম্বারের এমন হুমকির ভিডিও টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোটাররা বলছেন, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬শে ডিসেম্বর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ইউনিয়নগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলায় সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনগুলো প্রশাসনের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু দাদপুরে ভোটের আগেই কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ভোট নেয়ার ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হবে। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলেন ভোটাররা।  এ বিষয়ে দাদপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, আমি অন্য সূত্র ধরে এ কথাগুলো বলেছি। কিন্তু ফেসবুকে ভিডিওটি ভুলভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এটি আমার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপনের কাজ। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মিজানুর রহমান শিপন বলেন, তিনি নিজ মুখে কেন্দ্র দখলের কথা বলেছেন, যার ভিডিও ইতিমধ্যে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি কেন উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবো। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি অনেক অনিয়ম করেছেন। এখন আবার ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করাসহ আমার লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। আমি এসব বিষয়ে থানায় জিডি করে রেখেছি। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জুলকার নাঈম বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে এমন ঘোষণা দেন, তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর