× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / এক নম্বর দুই নম্বর নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনি -অমিত হাসান

বিনোদন

মুজাহিদ সামিউল্লাহ
৭ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

চলচ্চিত্র জগতে অমিত হাসানের দীর্ঘদিনের পথচলা। সু-অভিনেতা ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে রয়েছে তার সুনাম। কখনো রোমান্টিক হিরো, কখনো খল চরিত্রে দর্শকরা তার অভিনয় লুফে নিয়েছেন। ৯০ এর দশকে অমিত হাসান ঐ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা জসিম, মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয়ে নিজের একটা স্বতন্ত্র ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হন। রোমান্টিক চেহারার অমিত তার ভিন্নধর্মী অভিনয় দিয়ে নেগেটিভ চরিত্রেও সফলতা পেয়েছেন। অভিনয়ের বাইরে এই অভিনেতা কলেজ জীবন থেকে লেখালেখিতে অভ্যস্ত। বিভিন্ন সাময়িকীতে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি অমিত হাসানে ‘অসমাপ্ত মানুষ’ শিরোনামে একটি উপন্যাস লিখছেন। এতে পাঠক বাস্তবধর্মী কিছু চরিত্র পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন এই অভিনেতা।


এই নতুন লেখা সম্পর্কে জানতে চাই। অমিত হাসান বলেন, করোনাকালীন অফুরন্ত অবসরে এই উপন্যাসটি লেখা শুরু করেছি। আশা রাখি অচিরেই পাঠকদের হাতে তুলে দিতে পারবো। এই উপন্যাসটি নিয়ে আমার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে অমিত হাসান বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘সীমানা’ ‘যন্ত্রণা’ ও ‘মাসুদ রানা’। ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে? এ নায়ক বলেন, করোনার পর এখন আবার চাঙ্গা হচ্ছে সিনেমা। আমিও বেশ কিছু ছবির কাজ করছি। এগুলো নিয়ে আমি আশাবাদী।

সামনেও কয়েকটি নতুন ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। এক সময় নায়ক হিসেবেই অভিনয় করতেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে খল চরিত্রে অভিনয় করছেন। নায়ক থেকে ভিলেন হয়ে আপনার ইমেজে কি প্রভাব পড়েছে? অমিত হাসান এই প্রসঙ্গে বলেন, রোমান্টিক নায়কতো সবাই হতে চায়। কিন্তু একটি সিনেমার দর্শকদের পুরোপুরি ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ভিলেনের ওপর। নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের ভিন্ন ভিন্ন কারিশমা তুলে ধরার সুযোগ থাকে। তার অভিব্যক্তি, ডায়ালগ, পোশাক সব কিছুতেই বৈচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রথম প্রথম আমিও দ্বিধায় ছিলামÑ দর্শক আমাকে নেগেটিভ চরিত্রে গ্রহণ করবে কি-না। দর্শকরা আমাকে নায়ক হিসেবে যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছেন ভিলেন হিসেবেও সাদরে গ্রহণ করেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ জানাই সেসব সিনেমার কাহিনীকার, প্রযোজক ও পরিচালকদের যারা আমাকে এসব চরিত্রে ভেবেছেন, সুযোগ দিয়েছেন। একক নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তায় অমিত হাসান কি খানিকটা পিছিয়ে ছিলেন? আপনার মতামত কী? এ অভিনেতা বলেন, একটি সিনেমার প্রতিটি চরিত্র, শিল্পী সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সবাই সবার পরিপূরক। পৃথিবীর বিখ্যাত অনেক অভিনেতা অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাহলে কি আমরা বলতে পারি একটি দৃশ্যে অভিনয় করা ঐ শিল্পী গুরুত্বহীন। আমি যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় শুরু করেছিলাম তখন সিনেমার গল্পই তৈরি হতো দুজন নায়ক বা নায়িকা কেন্দ্রিক। সেখানে অবশ্যই আমিও সমান সমান চরিত্রে অভিনয় করেছি।

সেই সময় মান্না, ইলিয়াস কাঞ্চন, রুবেল, ওমরসানী সবার সঙ্গেই অমিত হাসানের নাম উচ্চারিত হতো। তাহলে আমি একক নায়ক হিসেবে কীভাবে পিছিয়ে। সব জনপ্রিয় নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছি। শাবনূর, মৌসুমী, পপি, পূর্ণিমা, শাহনাজসহ আরও অনেকের সঙ্গে। দর্শকদের মাঝে যদি আমার নায়ক ইমেজ নাই থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই বড় বড় চলচ্চিত্র প্রডাকশন হাউজ, বিখ্যাত সব পরিচালক আমাকে নিয়ে নতুন নতুন সিনেমা তৈরি করতেন না, এতো অর্থলগ্নি করতেন না। এক নম্বর দুই নম্বর নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর