× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লজ্জার ব্যাটিংয়ে বাড়ছে হতাশা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

ঢাকা টেস্টের টানা তিনদিন ছিল বৃষ্টির দখলে। তৃতীয় দিন মাঠে গড়ায়নি এক বলও। তবে চতুর্থ দিন অকাশে রোদের দেখা না মিললেও  খেলা হলো।  সেখানে লেখা হলো পাকিস্তানের ব্যাটিং গৌরব আর টাইগারদের ব্যর্থতার গল্প। ২ উইকেটে ১৮৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে পাকিস্তান। ৭১ রানে বাবর আজম  ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন আজহার আলী। সেখান থেকে ইনিংস ঘোষণার আগে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩০০ রান। ফিফটির দেখা পান মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাওয়াদ আলমও। ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্রই ১০১ রানের।
কিন্তু যাচ্ছেতাই ব্যাটিং ও ক্রিজে বালকসুলভ ভুলের মাসুল দেয় মুমিনুল হক সৌরভের দল।  ফলোঅনের শঙ্কা নিয়ে ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিকরা। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭৬/৭। আজ প্রথম ইনিংসের অবশিষ্ট তিন উইকেট নিয়ে ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরো ২৫ রানের। যেখানে টানা বৃষ্টিতে ড্রতেই নিষ্পতি হওয়ার কথা ঢাকা  টেস্ট সেখানে লজ্জাজনক ব্যাটিং দেখিয়ে হারের মুখে বাংলাদেশ! আলো কম থাকায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারের পর পেসারদের বোলিং করাতে পারেনি পাকিস্তান। তার পরও একাই বাংলাদেশের ছয় উইকেট নেন সাজিদ খান, আরেকটি রান আউট। ব্যাটিংয়ের ধরনে মনেই হয়নি টেস্ট খেলছে টাইগাররা। আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ না হলে গতকালই অলআউট হয়ে যেতে পারতো মুমিনুলের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ, টানা হারের অন্যতম কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। আর তাতেই বাড়ছে বাংলাদেশ শিবিরে হতাশা। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত করেন সর্বোচ্চ ৩০ রান। সাকিব আল হাসান দিন শেষ করেন ২৩ রানে অপরাজিত থেকে। আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তাই এখনও সামনে ঝুলছে ফলো অনের খড়গ। ৩ উইকেটে ২২ রান তুলে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩ রানে। চা বিরতির পর পাকিস্তানি দুই স্পিনার যেন আরও ভালোভাবে চেপে ধরে টাইগার ব্যাটারদের। নুমান আলীর করা ইনিংসের ১২তম ওভারে স্লিপ ও উইকেটরক্ষকের মাঝখানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান শান্ত (তখন ১৩ রানে)। উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করলেও রিভিউ নিয়ে আরেক দফা বাঁচেন শান্ত, তখন নো বলের কারণে উইকেট বঞ্চিত হন নুমান। কিন্তু অন্য পাশে ঠিকই একের পর এক উইকেট পকেটে পুরেন সাজিদ খান। চা বিরতির আগে ২ উইকেট নেয়া সাজিদ চা বিরতির পর টানা নেন আরও ৪ উইকেট।
১৩ তম ওভারে স্লগ খেলতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহীম ৫ রান করে। দলের বিপর্যয়ে অমন শর্ট খেলা নিশ্চিতভাবেই অপরাধের কাতারে পড়ে। আগের বলেই এলবিডাব্লিউ থেকে রক্ষা পান মুশফিক। চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লিটন ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফিরতি ক্যাচ দেন সাজিদকে। ৪৬ রানে ৫ উইকেট নেই টাইগারদের। ৭ নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান শান্তকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন। ক্রিজে এসেই দ্রুত রান তোলায় মনযোগ দেন। কিন্তু অন্য পাশে শান্তর অস্বস্তি কাটেনি তখনো। ব্যক্তিগত ৮ রানে সাকিবও বেঁচে যান রান আউট থেকে। তবে দুজনের জুটি জমেনি ১৯ রানের বেশি। শান্তর অস্বস্তিতে মোড়ানো ইনিংসের ইতি ঘটে সাজিদের বলে এলবিডব্লিউ হলে। ৫০ বলে ৩ চারে তার ব্যাটে ৩০ রান। ৬৫ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা, সাজিদ তুলে নেন ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের শট দেখে হয়তো অবাক হয়েছেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রাও। টেস্টকে ওয়ানডে মনে করে খেলতে গিয়ে আউট হন বাজে শট খেলে। সুইপ শট খেলতে গিয়ে তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল স্টাম্প ভেঙে দেয়।
ঢাকা টেস্টে প্রথম দুইদিনে খেলা মাঠে গড়ায় ৬৩.২ ওভার। তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে দুই দল হোটেল থেকে মাঠেই আসার প্রয়োজন হয়নি। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনেও নির্ধারিত সময়ের ১ ঘন্টা ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। মাত্র ৪ রান যোগ করে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আজহার। ৫৬ রানে আজহার আলীকে সাজঘরে ফেরান পেসার ইবাদত হোসেন। ৫ রান যোগ করে বিদায় নেন বাবর। টেস্ট ক্রিকেটে খালেদ আহমেদ প্রথম উইকেটের দেখা পান বাবরকে সাজঘরে ফিরিয়েই। ১২৬ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৭৬ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক ।
শেষ পর্যন্ত ফাওয়াদ  ৫০ এবং রিজওয়ান ৯৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে আসে ১০৩ রান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর