স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের গ্রুপভিত্তিক এমএসআর (ওটিএম) টেন্ডার নিয়ম বহির্ভূতভাবে দাখিল করাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলামকে ম্যানেজ করে ক্রয় অনুমতির আগেই তারিখ নিয়ে বিভিন্ন নামে টেন্ডার দাখিল করেন। এতে অন্যান্য ঠিকাদাররা টেন্ডার দাখিল করতে পারেনি। তারা অবিলম্বে এ দরপত্র বাতিল করে এপিপি অনুমোদনের পর নিয়ম মোতাবেক টেন্ডার আহ্বানের দাবি জানান। ঠিকাদাররা জানান, চলতি ২০২১ ও ২০২২ সালের আর্থিক সনের গ্রুপভিত্তিক এস.এম.আর (ওটিএম) সামগ্রী ক্রয়ের নিমিত্তে চিকিৎসার বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ের টেন্ডার ও ডকুমেন্স বিক্রয়ের শেষ তারিখ ও সময় চলতি বছরের ২৫শে অক্টোবর ও টেন্ডার ডকুমেন্ট দাখিলের শেষ তারিখ ২৬শে অক্টোবর সময় নির্ধারণ করেন ওই কর্মকর্তা।
অথচ ক্রয় অনুমতির অর্ডার ২৮শে অক্টোবর হওয়ার পর তা দরপত্র আহ্বানের তারিখ দেয়ার কথা। কিন্তু সেটি তোয়াক্কা না করে তড়িঘড়ি করে ওই কর্মকর্তা ২ দিন আগেই টেন্ডার দাখিলের তারিখ দেন এবং টেন্ডার আহ্বানের কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেন। ঠিকাদাররা অভিযোগ করে প্রশ্ন রেখে বলেন, এর রহস্যটা কোথায়।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঠিকাদাররা অংশ নেন। এটি স্থানীয় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দ্বারা মূল্যায়িত হয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর ঠিকাদার নির্ধারণ করা হবে।
এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু জাকিরুল ইসলাম লেলিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আবগত নই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।