× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুরাদকাণ্ডে বিব্রত আওয়ামী লীগ

দেশ বিদেশ

কাজী সোহাগ
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ইস্যুতে বিব্রত আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি মুরাদ হাসান শুধু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেননি তিনি দলের ভাবমূর্তিতেও আঘাত করেছেন। দলকে ফেলেছেন বিব্রতকর অবস্থায়। সব মিলিয়ে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সময়োপযোগী ও জনমানুষের দাবি ছিল। আওয়ামী লীগ মনে করে, মুরাদ হাসানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কালক্ষেপণ করা হয়নি। সাধারণ জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। তাই মানুষ কি চায় তা খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারে আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের প্রতি দল যে কঠোর, সেই বার্তা দেয়া হলো এই কাজের মাধ্যমে। সমপ্রতি পদচ্যুত তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মুরাদ হাসানের বিষয়ে আমরা বিব্রত ও লজ্জিত। কোনো পর্যায় থেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এটা তার প্রাপ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি বলেন, নারীর সম্মান রক্ষার্থে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের আবাসিক হল নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটা সমাজের জন্য, সবার জন্য একটি মেসেজ। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডা. মুরাদ হাসান প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে কিছু বলেছেন বলে আমার জানা নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও কাজ করেছি। দল বা সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কথা বা কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রী কখনো কারো জন্যই অনুমোদন করেন না। এছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। ব্যক্তিবিশেষের ভুল কাজের দায় দল কেন নেবে। যে কথা সমাজ, মানুষ বা দলের কাছে গ্রহণযোগ নয়, তা যদি কেউ বলে তবে এর দায় দল কেন নেবে। দল সেই ব্যক্তিকে যথোপযুক্ত সাজা দিয়ে তার দায়িত্ব পালন করবে। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। এ ধরনের দু-একজন তরুণ নেতা আওয়ামী লীগ থেকে চলে গেলে তাতে দলের কিছু এসে-যায় না। মাহবুব উল আলম হানিফ মনে করেন, জাহাঙ্গীর আলম ও মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা- মাঠে দলীয় নেতাকর্মীকে কঠোর অবস্থানের বার্তা পাঠাবে। আখেরে এতে লাভ বৈ ক্ষতি হবে না। এদিকে মুরাদ হাসানের দলের প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল হবে কিনা প্রশ্নে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে আমরা সেন্ট্রালি (কেন্দ্রীয় কমিটি) সিদ্ধান্ত নেবো। পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, আমরা গাজীপুরের মেয়র এবং ওই মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের ব্যাপারে এভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো। সংসদীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটি পরের ব্যাপার। এ বিষয়ে স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন আপাতত যেটা হয়েছে, তিনি একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তাকে সে পদ থেকে সরে যেতে হলো। দলের একটা পদ থেকেও তিনি অব্যাহতি পাচ্ছেন। এমপির বিষয়েও যদি সেরকম গুরুতর কোনো অভিযোগ আসে, সেটা স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Mahbub
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ১২:০০

এ ধরণের জঘন্য অপরাধির বিষয়ে শুধু সংসদ সদস্য পদ বাতিল নয় কঠোর সাজা নিশ্চিতে কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়, নেতাদের বক্তব্যে জাতি শঙ্কিত কারণ এরা আত্ম বিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন, যা করার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হবে।

ঊর্মি
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ১:৪৭

"এমপির বিষয়েও ""যদি সেরকম গুরুতর কোনো অভিযোগ আসে"", সেটা স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।" এখনও যদি "যদি" থাকে তাহলে তো Morning shows the day

অন্যান্য খবর