সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ থাকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। বলা হচ্ছে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে পদ খুইয়েছেন ডা. মুরাদ। এ অবস্থায় তার সংসদ সদস্য থাকার সুযোগ নেই। তবে আওয়ামী লীগ যদি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে তাহলে তিনি এমনিতেই সংসদ সদস্য পদ হারাবেন।
ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটা যে একটা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা চলছে তার একটা উদাহরণ বা বহিঃপ্রকাশ। ডা. মুরাদ হাসান এমপি পদে থাকতে পারেন না। যদি পার্টি তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ আনে এবং পার্টি থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার মনে হয় তিনি নৈতিক স্খলন করেছেন। এর মাধ্যমে তো তিনি সংসদে থাকতে পারেন না।
তিনি সংসদ অবমাননা করেছেন, মর্যাদাহানি করেছেন। আমাদের স্পিকারের নেতৃত্বে একটা কমিটি আছে। যাকে প্রিভেলেইজ কমিটি বলে। কেউ যদি সংসদের মর্যাদাহানি করে, বিশেষ করে সংসদ সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে এই কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এমনকি তাকে বহিষ্কার করতে পারেন। যেসব সংসদ সদস্য আচরণের মাধ্যমে, কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্নীতি, দুর্বিতায়নের মাধ্যমে সংসদের মর্যাদাহানি করে তাদেরকে বহিষ্কার করতে পারে। আমি আশা করবো যে, এই কমিটি ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এই কমিটিতে সব সিনিয়র সদস্যরা আছেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী আছেন, বিরোধী দলের নেতা আছেন। আমি আশা করি তাকে এই কমিটির মাধ্যমে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের জন্য বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তাকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে যাদেরকে সে অপমান করেছে, মর্যাদাহানি করেছে তাদের আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নৈতিক স্খলনের জন্য তার পদত্যাগ করা উচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অডিও যেভাবে প্রচার হয়েছে, তাতে তার বিরুদ্ধে অভিসংশন ও তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
Yasin Khan
৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার, ৯:৪৯নিশি রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি কেরাকে নৈতিক স্খলন বলা যায় কি না?