‘এক জীবনে’সহ বেশকিছু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন সৈয়দ শহীদ। একক ক্যারিয়ারের আগে অবশ্য তিনি ব্যান্ড দূরবীন প্রতিষ্ঠা করে তাকে পরিণত করেছেন তারণ্যের পছন্দের ব্যান্ডে। চলতি মাসের ৪ তারিখ ছিল ব্যান্ডটির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ১২ দিন ব্যাপি নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্যান্ডটি। ১৭ বছর পার করা একটি ব্যান্ডের জন্য বড় সফলতা। দূরবীনের প্রতিষ্ঠাতা ও দলনেতা হিসেবে আপনার অনুভূতি কেমন? এই জার্নিটাই বা কেমন ছিল? শহীদ উত্তরে বলেন, নিঃসন্দেহে শ্রোতারাই দূরবীনের আজকের অবস্থানের কারণ। তারা আমাদের গান পছন্দ না করলে এখানে আসা সম্ভব ছিল না।
তবে এর পেছনে অনেক ত্যাগ. ভালোবাসার গল্প আছে ব্যান্ডের সদস্যদের।
দূরবীন আমাদের আবেগ-ভালোবাসার জায়গা। জার্নিটা সহজ ছিল না। তবে সবার চেষ্টায় আজ আমরা ১৭টি বছর পার করছি। এর জন্য দূরবীনের সকল সাবেক ও বর্তমান সদস্য, শুভাকাঙ্খী, মিডিয়াকর্মী ও শ্রোতদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই। ১৭ বছর উপলক্ষে ব্যান্ডের কার্যক্রমের মধ্যে কি রয়েছে? উত্তরে এ শিল্পী বলেন, কনসার্ট করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু সেটা পরিকল্পনা থেকে বাদ দিয়েছি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে। তবে অনলাইনের লাইভে অংশ নেবো আমরা। তাছাড়া ১৭ বছর উপলক্ষে দূরবীনের টিশার্ট, হুডি আমরা করেছি ভালোবাসার মানুষদের জন্য। এছাড়া দুটি নতুন গান প্রকাশ করতে যাচ্ছি আমরা।
কিন্তু সংখ্যায় দূরবীনের গান কম প্রকাশ হচ্ছে আগের থেকে। এর কারণ কি? শহীদ বলেন, করোনার কারণে পুরো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি স্থবির হয়েছিল প্রায় দুই বছর। তাছাড়া আমরা সদস্যরা সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত রয়েছি। সবার প্রধান পেশা গান নয়। তবে এখন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মাসে দূরবীন একটি করে গান প্রকাশ করবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি আমরা। আপনার নতুন গান ‘জলের ভেতর’ প্রকাশ হলো। কেমন সাড়া মিলছে? এ গায়ক বলেন, এ গানটির কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রাজীব হোসেন। এর ভিডিও নির্মাণ করেছেন বিকাশ সাহা। আর ভিডিওতে পারফর্মও করেছি আমি। সঙ্গে মডেল হিসেবে ছিলেন শ্রাবন্তী সেলিনা।
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে গানটি প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। কথা-সুর ও সংগীতায়োজন সব মিলিয়ে একটা ভিন্নতা খুঁজে পাওয়া যাবে। দরদ রয়েছে। গানটি প্রকাশের পর বেশ ভালো সাড়া মিলছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গানটি আরও ভালো অবস্থানে যাবে বলেই বিশ্বাস। সংগীতের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে এখন? শহীদ উত্তরে বলেন, করোনার কারণ সব কিছুর অবস্থাই খারাপ গেছে। সংগীতও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এখন পরিস্থিতি খানিকটা ঠিক হয়েছে। শিল্পীরা নতুন গান ও শোতে ফিরেছেন। এই ধারা যেন অব্যহত থাকে সেটাই প্রার্থনা করি।