× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জীবিত থেকেও শহীদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান

বাংলারজমিন

রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

মুক্তিযুদ্ধ চালাকালীন রণাঙ্গনে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। লুহাইউনি চা বাগানে পরাজিত করেছিলেন পাকিস্তানি হয়েনাদের। পাকিস্থানি হানাদারদের ভবলীলা সাঙ্গ করলেও তিনি সুস্থ-সবলই ছিলেন। কিন্তু রাজনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি তাকে স্থান দিয়েছে শহীদ যোদ্ধাদের তালিকায়। তাই এখন নিজেকে জীবিত প্রমাণ ও জীবিতের তালিকায় স্থানান্তরের জন্য ধরনা দিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান। তার বাড়ি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন ও যোগাযোগ করেও জীবিতের তালিকায় নিজেকে নিতে পারেননি। সর্বশেষ গত ১৮ই জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
 
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের দেয়া লিখিত আবেদন থেকে জানা গেছে, দেশের জন্য যুদ্ধ করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম ছিল না আব্দুল হান্নানের। বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হলে তিনি তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠিত কমিটি ২০১৪ সালের ১৪ই মে সভা করে। এতে তৎকালীন এডিসি জহিরুল হক সভাপতিত্ব করেন। সভায় তার আবেদন যাচাই-বাছাই ও স্বাক্ষাৎকার শেষে আব্দুল হান্নান একজন পকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হন এবং তালিকাভুক্তির সুপারিশও করা হয়। কিন্তু রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ওই বছরের ১লা জুন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নানের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় উল্লেখ করা হয়। তেমনিভাবে একই মাসের ৩০ তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় তার নাম উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখ মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভা শেষে তিনি জানতে পারেন তার নাম জীবিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় পস্তাব না করে শহীদের তালিকায় পস্তাব করা হয়েছে। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চলতি বছরের ১৮ই জানুয়ারি। আবেদনের দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এখনো এ ব্যাপারে কোনো সুরাহা হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান বলেন, নিজের নাম জীবিতের তালিকায় উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও  বড় কর্তাদের নিকট ধরনা দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছি না। নিজেকে জীবিত প্রমাণের জন্য প্রানান্তকর চেষ্টাও যেন কাজে আসছে না। আমি এর সুরাহা চাই।
এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, আমি রাজনগর আসার পর এ ধরনের কোনো সংবাদ পাইনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর