মিরপুরে দারুণ এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের অফস্পিনার সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসে একাই বাংলাদেশের ৮ উইকেট তুলে নেন সাজিদ। তাতে ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টুয়ার্ট ম্যাকগ্রিলের রেকর্ডকে। মাত্র ৪২ রানে ৮ উইকেট শিকার সাজিদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি টেস্টে সব দল মিলিয়ে সেরা বোলিং ফিগার। সাজিদের আগে ২০০৬ সালে ফতুল্লায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৮ রানে ৮ উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগস্পিনার ম্যাকগ্রিল।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সেরা বোলিং পারফরম্যান্স সাজিদের। আর পাকিস্তানি অফ স্পিনারদের মধ্যে সেরা। সাজিদের আগে পাকিস্তানের অফস্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার ছিল সাকলায়েন মুশতাকের।
১৬৪ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন মুশতাক, যিনি এখন দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে।
টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে সাজিদের চেয়ে ভালো বোলিং ফিগার আছে কেবল আব্দুল কাদির, সরফরাজ নওয়াজ ও ইয়াসির শাহর। ৫৬ রানে ৯ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলিং ফিগার কাদিরের। দ্বিতীয় সেরা সরফরাজ নওয়াজের ৮৬ রানে শিকার ৮ উইকেট। লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ ৪১ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।
অথচ বাংলাদেশে আসার আগে ২ টেস্টে সাজিদের ঝুলিতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি এই অফস্পিনার। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৪ উইকেট। মিরপুরে এসে পৌঁছে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। ৪২/৮ তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরই সেরা বোলিং ফিগার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাজিদের সেরা বোলিং ৩৫ রানে ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ডুবান সাজিদ। মিরপুর টেস্টে পাকিস্তানের জয়ে বড় অবদান তারই। ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। পুরস্কার গ্রহণ করার সময় সাজিদ বলেন, ‘অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। আমি খুশি যে দলের হয়ে পারফর্ম করতে পেরেছি। আমরা জয় নিয়েই কথা বলেছি। পরিকল্পনা ছিল আগ্রাসী খেলার। দলীয় প্রচেষ্টার ফলেই আমরা এই জয় পেয়েছি।’