গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের চোখে এখন পানি। দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার রবিশস্য বোরোবীজ, সরিষা, খেসারী, মসুর, গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ উপজেলার প্রায় চাষি এখন বিপদগ্রস্ত, টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে তাদের স্বপ্ন। চাষিরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে যারা বোরোবীজ তলা রোপণ করেছিলেন, তারা বেশ ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার উপজেলার মোট ৩৯০ হেক্টর জমিতে বোরোবীজ তলা রোপণ করে তার মধ্যে ক্ষতির পরিমাণ ১২৬ হেক্টর, এছাড়া সরিষা ১১০০ হেক্টর মধ্যে ২২০, খেসারি ১২৫০ হেক্টর মধ্যে ২৭৫, মসুর ১০৫০ হেক্টরের মধ্যে ৩১৫, গম ৪১৬০ হেক্টরের মধ্যে ৩১২ ও শাক-সবজি ৪৮৫ হেক্টরের মধ্যে ১১০ হেক্টর জমিতে রোপণকৃত ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। সরিষা চাষি নারায়ণপুর গ্রামের জাকির মিয়া জানান, উপজেলার বেশির ভাগ জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে আমি ২ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি তা এখন পানির নিছে। জমিতে পানি সেচের মেশিন লাগিয়ে জমির পানি নিষ্কাশন করতে হবে। পৌরসভার গোপীনাথপুর গ্রামের আনিছ মিয়া বলেন- এবার আমি সাড়ে ৫ হেক্টর জমিতে বোরো বিজতলা রোপণ করেছি। বৃষ্টির পানিতে আমার সব জমিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এটা পেয়েছি। তবে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন ও মাঠ পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে সময় লাগবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ‘নিম্নচাপ এবং অসময়ে বৃষ্টির কারণে এ উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর যেসব জমিতে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বীজ লাগিয়েছে তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
তাছাড়া তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য আমাদের কৃষি অফিসের অনেক লোক মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।’