× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্যানডোরা পেপারস নিয়ে মতামত না দেয়াই উত্তম

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্যানডোরা পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের সম্পর্কে দুর্নীতি দমন পৃষ্ঠা ৫ কলাম ১
কমিশন (দুদক) হাইকোর্ট ডিভিশনে তথ্য জমা দিয়েছে। এখন বিষয়টি হাইকোর্টের এখতিয়ারে আছে। মামলাটি চলমান। আমি মনে করি, এ সময়ে বিষয়টি নিয়ে আমার মতামত দেয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।
গতকাল অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়- প্যানডোরা পেপারসে দেশের চারজন ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। তাদের মধ্যে একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ীও রয়েছে, এতে কি আপনি আশ্চর্য হয়েছেন?
জবাবে অর্থমন্ত্রী উপরোক্ত কথা বলেন।
গণমাধ্যমে নতুন করে আরও কয়েকজনের নাম আসাদের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো পত্রিকায় যেভাবে আসছে, সেগুলো আরও অনুসন্ধান করে দুদক যদি মনে করে হাইকোর্টে যাওয়া দরকার, বিচার শুরু করার জন্য সে কাজটি তারা করে যাচ্ছেন।
আমার মনে হয়, আমি মতামত দিলে তাদের কাজে লাগবে না। তাই আমি মতামত দেবো না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিটেইলসে আপডেট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রথমে ৪৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা আসে। সে তালিকা হাইকোর্টে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যা আসবে, সেটাও দেয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার পাবো। আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেবো।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, সভায় ১৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ১৬টি অনুমোদন পেয়েছে। একটি প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের পাঁচটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের একটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি। ১৭টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ১৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা। তবে অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবে অর্থের পরিমাণ ২২ হাজার দুই কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা। এরমধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ২০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। বাকি এক হাজার ৮৯৮ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭১ টাকা দেশীয় ব্যাংক ও এডিবি হতে ঋণ।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)- এর ভিত্তিতে ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণের একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত সচিব জানান।
কবে নাগাদ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন এটা টেন্ডারে দেয়া হবে।
এটি নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে কমবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর