‘এটা একটা ফাইনাল এবং আমরা প্রতিশোধ চাই’- বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হওয়ার আগে কথাগুলো বলেছিলেন বার্সেলোনার মেম্ফিস ডিপাই। প্রতিশোধ তো দূরের কথা, এ যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা! চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে প্রথম লেগের পুনরাবৃত্তি করলো বায়ার্ন মিউনিখ। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বার্সেলোনাকে ফের ৩-০ গোলে হারালো বাভারিয়ানরা।
ইউসিএলে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না বার্সেলোনার। বায়ার্নের মাঠে প্রথম জয়ের খোঁজে থাকা ব্লাউগ্রানাদের জন্য ম্যাচটি ছিল তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কঠিন পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি জাভি হার্নান্দেজের দল। এই হারে দুই দশক পর শীর্ষ টুর্নামেন্ট থেকে ইউরোপা লীগে নেমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হলো কাতালানদের।
এর আগে সবশেষ বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০০-০১ আসরে। এসি মিলান ও লিডস ইউনাইটেডের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে উয়েফা কাপে (এখনকার ইউরোপা লীগ) অবনমন হয়েছিল কাতালানদের।
অন্য ম্যাচে দিনামো কিয়েভকে ২-০ গোলে হারিয়ে ‘ই’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে পরের ধাপে পৌঁছেছে বেনফিকা।
টমাস মুলার দলকে এগিয়ে নেয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান লেরয় সানে। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য গোলটি করেন জামাল মুসিয়ালা।
বল দখল এবং আক্রমণে বার্সেলোনার চেয়ে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ৫৩ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১০টি শট নেয় বায়ার্ন। যার লক্ষ্যে ছিল ৬টি। ৪৭ শতাংশ বল দখলে রাখা বার্সা ৭টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়।
২৭তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বায়ার্ন। তবে মুলারের ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে বলে পা লাগাতে পারেননি রবার্ট লেভানদোভস্কি। এরপর বল ক্লেয়ার করেন জর্ডি আলবা। তবে সেসময়ই হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়তে হয় তাকে। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে হারানোর খানিক বাদেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ৩৪তম লেভানদোভস্কির ক্রসে হেড নেন মুলার। জার্মান তারকার হেড অবশ্য ঠেকিয়ে দেন রোনালদো আরাহো। তবে গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বল আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লীগে মুলারের গোল হলো ৫০টি। জার্মান খেলোয়াড়দের যা মধ্যে সর্বোচ্চ।
৪৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেরয় সানে।
বিরতি থেকে ফিরে ফের গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে কিংসলে ক্যোমানের ছোট পাস গোলমুখে পেয়ে সানে টোকা দিতে ব্যর্থ হয়।
৬২তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন জামাল মুসিয়ালা। বাঁ দিকের বাইলাইনের ওপর থেকে আলফুঁস ডেভিসের বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে জালে পাঠান মুসিয়ালা।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল বায়ার্ন। ২০১৯-২০ আসরেও এই সাফল্য পেয়েছিল তারা। সেবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল দলটি।
তাদের মতো দুইবার গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জয়ের কীর্তি আছে আর কেবল রিয়াল মাদ্রিদের।