১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার মাঠ পর্যায়ের পোস্ট অফিস চালু করে। মুক্তাঞ্চলের পোস্ট অফিসগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডাক বিভাগকে ন্যস্ত করা হয়। ১৯শে ডিসেম্বর ১৯৭১ এক সার্কুলারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সকল পোস্ট অফিসকে নিজস্ব সিলমোহর তৈরি ও কাগজপত্রে ওই সিল ব্যবহারের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে ডাক বিভাগ রয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন অনেকদূর এগিয়েছে। মানি অর্ডারের পরিবর্তে মোবাইল মানি অর্ডার চালু করেছে। যা বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে মাত্র ১ মিনিটের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। আর এই মোবাইল মানি অর্ডারের প্রথম গ্রাহক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনিই ২০১০ সালের ২৬শে মার্চ তার ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে ৫০০০ টাকা খুলে তা তুলে দেন তৎকালীন ডাক বিভাগের ডিজি মোবাশ্বের-উর রহমানের হাতে। এ টাকা পাঠানো হয় টুঙ্গিপাড়া পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ম্যানেজারের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এ টাকা মোবাইল মানি অর্ডারের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যায় সেখানে। টাকা পাঠানোর পর প্রধানমন্ত্রী নিজে তার ম্যানেজারকে ফোন করে বলেন, তোমার নামে ৫০০০ টাকা পাঠিয়েছি। পোস্ট অফিসে গিয়ে টাকা তুলে আমাকে জানাও। ৫ মিনিটের মধ্যেই ফিরতি ফোনে জানানো হয় টাকা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তো ভীষণ খুশি। মোবাশ্বের-উর রহমানকে ডেকে নিয়ে বললেন, কি করেছেন আপনি।
আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে এক সময় পিছিয়ে পড়তে থাকে ডাক বিভাগ। কমতে থাকে সরকারের রাজস্ব। এ খাতে ভর করে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস। কারণও আছে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে যেখানে একদিনে ডেলিভারি দেয়া যায় ডকুমেন্ট, সেখানে ডাক বিভাগে লাগে তিন থেকে চারদিন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে যার কথা বলে ফেলতে পারছেন। এই যখন অবস্থা তখনই ডাক বিভাগকে ঢেলে সাজানোর চিন্তা করতে থাকে সরকার। এর দায়িত্ব পড়ে মোবাশ্বের-উর রহমানের উপর। ডাক বিভাগের মহাপরিচালক প্রথমেই চমক দেন মোবাইল মানি অর্ডার সিস্টেম তৈরি করে। ঢাকা থেকে মোবাইল মানি অর্ডারের মাধ্যমে টাকা পাঠালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যেকোনো পোস্ট অফিস থেকে তা সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেয়া যায়। এ ছিল ডাক বিভাগের এক বিপ্লব।
এর সূত্র ধরেই তৈরি হয় দেশের প্রথম বেসরকারি অর্থ লেনদেনের সিস্টেম বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং। আর এই মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমও তৈরি হয় মোবাশ্বের-উর রহমানের হাত ধরে। ডাক বিভাগও বসে নেই। তারাও নগদ নামে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করে। এছাড়া বাজারে একাধিক মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
Mobasherur Rahman
৩ জানুয়ারি ২০২২, সোমবার, ৭:০৪Thanks for a very truthful and accurate version of the fact. But how could you collect this information. About bkash, I was one of the team members of Kamal kadir the CEO. Nothing more. However many thanks.