ঝাড়গ্রামের সদর হাসপাতাল গত দুমাস ধরে নাজেহাল ছিল বছর চল্লিশের মহিলাটিকে নিয়ে। স্মৃতি হারিয়েছিলেন তিনি। কিছুই বলতে পারছিলেন না নিজের কথা। কোথায় বাড়ি কিংবা বাড়িতে কে আছেন প্রশ্ন করলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। শুক্রবার হঠাৎ তিনি স্মৃতি ফিরে পেয়েছেন। চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায়। না, ঠিকানা বলতে পারেননি। নিজের নাম বলেছেন রাজিয়া বেগম।
ভাই হারুনের কথাও বলেছেন। জানিয়েছেন তাঁর ১৭ বছরের পুত্র রাহাতের কথাও।
স্বামী যে তাঁকে ছেড়ে গেছেন সেই কথা জানিয়ে রাজিয়া বলেছেন, তাঁর বাড়ির অদূরে নদী আছে। আছে সমুদ্রের মোহনাও। তবে, কিভাবে তিনি সীমানা অতিক্রম করে এদেশে এসেছিলেন তা জানাতে পারেননি রাজিয়া। তবে, তাঁর বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে সুন্দরবনের দিক থেকে তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। রাজিয়া বেগম এর ভবিষ্যৎ জানতে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক উচ্চতরমহলে চিঠি লিখেছেন। মানবজমিনের পটুয়াখালীর কোনও পাঠক কি আলোকপাত করতে পারেন?